যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক বাজেট প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন। মূলত চীনের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্যই তিনি এ বিশাল সামরিক বাজেট প্রস্তাব করেছেন।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, পেন্টাগনের জন্য মার্কিন সরকার যে পরিমাণ সামরিক বরাদ্দ দেয়, চীন তার এক-চতুর্থাংশ ব্যয় করে। খবর পার্সটুডে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সরকারি ব্যয় ও উচ্চ করের জন্য বাজেট পরিকল্পনা উন্মোচন করেন বাইডেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। সে হিসেবে এবারের বাজেটকে অনেকটা নির্বাচনী বাজেট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৪ অর্থবছরের জন্য বাইডেন যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন তাতে বার্ষিক সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে ৮৪২ বিলিয়ন ডলারে নেওয়া হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২৬ বিলিয়ন ডলার বেশি।
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতি অনুসারে, বাজেটে পেন্টাগনের প্যাসিফিক ডিটারেন্স ইনিশিয়েটিভ-এ ৯১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার লক্ষ্য চীনের মোকাবিলায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতি জোরদার করা।
মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণের জন্য ৩৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের জন্য অজ্ঞাত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে। পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাখা হয়েছে ৬০০ কোটি ডলার।
বাইডেনের প্রস্তাবিত বাজেট চীনের সামরিক বাজেটের প্রায় চার গুণ বেশি। চীনের সামরিক বাজেট ২২৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এমএইচএস