ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে লাখো মানুষ বিক্ষোভ করেছে। সাম্প্রতিক হামলা ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যেই এই বিক্ষোভ হলো।

 

বিক্ষোভটি এমন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে হলো, যেটি গেল মাসে ধর্মঘট ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে স্থগিত হয়েছিল। ফের এই বিক্ষোভ হলো যখন ইসরাইয়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের মধ্যে সহিংসতা বাড়ছে।

শনিবার যখন তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন, তখন ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতের নাম আহমেদ সেলিম, বয়স ২০। কালকিলাহর আজ্জুনে তার বুকে ও পেটে গুলি করা হয়।  

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, সিরিয়া থেকে ইসরায়েলি অঞ্চল লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়। কেউ রকেট ছোড়ার দাবি করেনি। এতে কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

জেরুজালেমে আল-আকসায় রাতভর হামলার পর ইসরায়েলে রকেট হামলা ও গাজা ও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।  

গেল শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির কাছে দুই ইসরায়েলি বোন গুলিতে নিহত হয়, তাদের মা আহত হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর তেল আবিবে এক ইতালীয় ব্যক্তি নিহত হন এবং পাঁচ পর্যটক আহত হন।  

সম্ভাব্য ঝামেলা সামনে রেখে নেতানিয়াহু সীমান্তরক্ষী পুলিশের সমাগম ঘটিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তির ডাক দেওয়ার পরও নেতানিয়াহু সরকার এমন নির্দেশ দিল।  

তেল আবিবের কেন্দ্রে লাখো ইসরায়েলি নীল-সাদা পতাকা নিয়ে জড়ো হন। তারা পতাকা ওড়ান। ইসরায়েল সরকারের বিচার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে লোকজন এর বিরুদ্ধে গত তিন মাস ধরেই বিক্ষোভ করছে।  

আল জাজিরার প্রতিবেদক রেসুল সারদার তেল আবিব থেকে জানান, বিক্ষোভে এক লাখ ৪৫ হাজার লোকের সমাগম হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

তিনি জানান, নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভে যোগ না দিতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলে, যে নিরাপত্তার কথা বলা হয়, তা হলো অজুহাত। এই বলে তাদের সড়কে নামানো থেকে বিরত রাখা যাবে না।  

বিচার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে এবং আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর পার্লামেন্ট নাক গলাতে পারবে।

আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশরা বলেন, এসব সংকট নেতানিয়াহুকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। তিনি তার সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।