আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভালো সময় যাচ্ছে না রাশিয়ার। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সশরীরে উপস্থিত হতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ছাড় পেলেও ভিসা না পাওয়ায় প্রতিনিধিদলের অংশ হতে পারেননি সাংবাদিকরা। তার ওপর আবার সের্গেই ল্যাভরভের পাশে বসেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কড়া নিন্দা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, এই হামলার কারণে ইউক্রেনের মানুষের দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। করোনা কারণে বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক বিভ্রাট সৃষ্টি হয়েছিল, তা আরও অবনতি হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, প্রধান শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। বেপরোয়া পদক্ষেপ বা ভুল হিসাবের কারণে সংঘাতের ঝুঁকিও বাড়ছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, সম্ভবত শীতল যুদ্ধের তুলনায় আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মাল্টিল্যাটারিজম বা বহুপক্ষীয়তাবাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমা বিশ্বকে ‘সংখ্যালঘু’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, সত্যি কথা হলো মানবজাতির হয়ে কেউ তাদের কথা বলার অধিকার দেয়নি।
ল্যাভরভের ভাষণের তীর্যক মন্তব্য করে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের সভার ভণ্ড আহ্বায়ক’ হিসেবে রাশিয়া তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়ে জাতিসংঘের সনদের মূলে আঘাত করেছে। বেআইনি, প্ররোচনাহীন ও অপ্রয়োজনীয় এই যুদ্ধ সবচেয়ে পবিত্র নীতির বিরোধী।
তিনি বলেন, আগ্রাসনের লক্ষ্যে যুদ্ধ ও জমি দখল কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
এমএইচএস