জার্মানের ব্রেমারহেভেন শহরে এক মুসলিম অভিবাসী ছেলেকে তার পরিবার থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে ওই শহরের যুব কল্যাণ অফিস ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েছে।
এরই মধ্যে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে ওই ভিডিওটি। এতে দেখা গেছে, পুলিশ ও শিশু সুরক্ষা সংস্থার কর্মকর্তারা একটি বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করে ছোট্ট ওই ছেলেটিকে পরিবারের কাছে থেকে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় ভীত-সন্ত্রস্ত ওই ছেলেটি তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কান্না করছে। বাড়িতে প্রবেশকারী কর্মকর্তাদের হাত নিজেকে ছাড়ানোরও চেষ্টা করছে ছেলেটি।
পরিবারের সদস্যরা কর্মকর্তাদের চিৎকার করে বলছেন, আমাদের ছেলেটির কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। তার কষ্ট হচ্ছে। ছেলেটিকে আমাদের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত নয়।
কিন্তু একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওই পরিবারের সদস্যদের বলছেন, এটি আদালত ও যুব কল্যাণ অফিসের সিদ্ধান্ত। আমরা আদেশ পালন করছি মাত্র।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা পুলিশের এমন অসদাচরণের জন্য নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, যুব কল্যাণ অফিস অন্যায়ভাবে ছোট্ট ছেলেটিকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে।
ব্রেমারহেভেন পুলিশ নিশ্চিত করেছে ঘটনাটি এ সপ্তাহে ঘটেছে। তারা দাবি করেছে ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিন্নভাবে প্রচার করা হয়েছে। যা ছিল মিথ্যা ও বানোয়াট।
পুলিশ শনিবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছে, ভিডিওটিতে দুটি শিশুকে যত্ন নেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশিত ব্যবস্থার একটি ছোট অংশ দেখা যাচ্ছে।
বিষয়টি কতটুকু গুরুত্বর হলেই শিশুকে আমাদের হেফাজতে নিতে হচ্ছে, এর চেয়ে বেশি ব্যাখ্যা দিতে আমরা প্রস্তত নই।
এর আগে, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী দাবি করেছিলেন পুলিশ শিশুটিকে তার মুসলিম পরিবার থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর তার স্কুল জানিয়েছে পরিবার শিশুটিকে শেখাচ্ছে লিঙ্গান্তরবাদ ও সমকামিতা ইসলামে নিষিদ্ধ।
ব্রেমারহেভেনের যুব কল্যাণ অফিস এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
জেএইচ