তিউনিসিয়ার জেরবা দ্বীপে আফ্রিকার প্রাচীনতম উপাসনালয়ে বন্দুক হামলায় দুই দর্শনার্থী ও দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ মে) দ্বীপটিতে ইহুদিদের বার্ষিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
একজন নিরাপত্তা প্রহরী উপাসনালয়ের কাছে দর্শনার্থী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর আগে তার সঙ্গীকে গুলি করে হত্যা করে। পরে পাল্টা হামলায় হামলাকারীও নিহত হয়।
নিহত দর্শনার্থীদের একজন ফ্রান্সের নাগরিক। বাকিরা তিউনিসিয়া ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক।
ইসরায়েলের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিহতদের দুইজন চাচাতো ভাই। এ হামলায় চার দর্শনার্থী ও নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্যও আহত হয়েছেন।
ঘরিবা উপাসনালয়ে আসা দর্শনার্থীরা তীর্থযাত্রী কিনা তা স্পষ্ট নয়। বন্দুকের গুলির শব্দে তাদের দৌড়াতে দেখা গেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যান-ক্লেয়ার লেজেন্ড্রে জানান, ফরাসি সরকার এ জঘন্য হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
স্থানীয় সংগঠকদের বরাত দিয়ে এএফপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ২০২২ সালের তীর্থযাত্রায় ৫ হাজারেরও বেশি ইহুদি অংশ নিয়েছিল। আড়াই হাজার বছরের পুরো উপাসনালয়কে টার্গেটে পরিণত করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়।
২০০২ সালে আল-কায়েদা ইসলামি জঙ্গিদের বোমা হামলায় দ্বীপটিতে ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।
জেরবার বার্ষিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি রাজধানী তিউনিস থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে। বোমা হামলার পর থেকে তিউনিসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
জেএইচ