এবার দীর্ঘ ১৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর মার্কাস রাইকোনেনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।
বুধবার (১০ মে) ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানান।
ইনস্টাগ্রামে সানা মারিন লেখেন, আমরা দুইজনেই বিচ্ছেদের আবেদন করেছি। ১৯ বছর একসঙ্গে থাকা ও আমাদের একটি কন্যা আছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি লেখেন, আমরা এখনও ভালো বন্ধু এবং একে অপরের ওপর শ্রদ্ধাশীল। ভবিষতে পরিবার হিসেবে আমরা একসঙ্গে সময় কাটাবো।
মারিনের স্বামী মার্কাস রাইকোনেন একজন ব্যবসায়ী ও সাবেক পেশাদার ফুটবলার। দীর্ঘ সম্পর্কে থাকার পর ২০২০ সালে তাদের বিয়ে হয়।
মারিনের বয়স ৩৭ বছর। তিনি প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনামে থাকেন। ২০১৯ সালে ৩৪ বছর বয়সে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর তকমা পেয়েছিলেন সানা মারিন। তখন বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের শিরোনামেও ছিলেন তিনি।
২০২২ সালে একটি পার্টিতে মারিনের নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ব্যাপক সমালোচনায় জড়ান তিনি। পরে ডোপ টেস্টের মুখোমুখিও হতে হয় সানা মারিনকে। যদিও ডোপ টেস্টে তার মাদক নেওয়ার কোনো প্রমাণ পায়নি।
এরপর সানা মারিন আলোচনায় আসেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর। ওই যুদ্ধ শুরুর পর ফিনল্যান্ডকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ‘ন্যাটো’-তে যুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চালান তিনি। তার প্রচেষ্টাতেই ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হয়। কিন্তু ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার আগেই ক্ষমতা হারান তিনি। নির্বাচনে হেরে প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশটির ডানপস্থি দল ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টি। যদিও এখনও মারিন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তী জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এএটি