ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নেদারল্যান্ডসে কেন ‘পাকিস্তান হ্যাশট্যাগ’?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
নেদারল্যান্ডসে কেন ‘পাকিস্তান হ্যাশট্যাগ’?

পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় শাহবাজ শরীফ সরকার। পরবর্তীতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে দিলেও বন্ধ রাখা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব।

পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ) এখনও এ প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত পায়নি। যদিও ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের আইডি সচল রেখেছেন। খবর জিও টিভি

সরকারি বিধিনিষেধ আরোপের পর ভিপিএন ব্যবহার এত বেশি মাত্রায় হচ্ছে যে কারণে ট্রেন্ড বাড়ছে ‘পাকিস্তানি হ্যাশট্যাগের’ (#pakistan)। হ্যাশট্যাগের সবচেয়ে বেশি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসে।

অর্থাৎ, পাকিস্তানের যারা ভিপিএন’র মাধ্যমে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব ব্যবহার করছেন, তাদের সার্ভার সবচেয়ে বেশি কাজ করছে নেদারল্যান্ড থেকে। তাই কার্যত বলা যায়, নেদারল্যান্ডসেই বাড়ছে ‘পাকিস্তান হ্যাশট্যাগ’।

পিটিএ’র একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা সারা দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার করার নির্দেশনা পেয়েছি। সেটি করা হচ্ছে। কিন্তু টুইটার, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি।

একই কথা জানিয়েছে পাকিস্তানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান বোলো ভি’র পরিচালক উসামা খিলজি বলেছেন, চার দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পাওয়া গেল। লোকেরা টুইটার, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন। তারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন। এ তালিকায় সম্ভবতে দেশের প্রধানমন্ত্রীও আছেন।

তিনি আরও বলেন, নেদারল্যান্ডসে পাকিস্তান হ্যাশট্যাগের প্রবণতা বাড়ছে, কেননা সেখানকার ভিপিএন’র আকাশচুম্বী সুবিধা নিচ্ছেন দেশের জনগণ।

ইসলামাবাদভিত্তিক সাংবাদিক শিরাজ হাসান, নেদারল্যান্ডসের টুইটারে #pakistan লেখা কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন।

পাকিস্তানের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জেহান আরা সরকারি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, এসব আমার বোঝার বাইরে। এবারই প্রথম নয়। আমি ভেবেছিলাম ইন্টারনেট ব্যবহার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের সংবিধানের অধীনে নিশ্চিত করা মৌলিক মানবাধিকার। আর আমরা গণতন্ত্র বলে দাবি করি?

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৯ মে) আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিনই পুরো পাকিস্তানে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা সীমিত করে সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বুধবার (১০ মে) আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তোশাখানা মামলাতেও অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। ইমরানের গ্রেপ্তার ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পাকিস্তান। ইমরানের সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। সেনানিবাসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন তারা। এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি লোক গ্রেপ্তার হয়েছেন, প্রাণ গেছে আটজনের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।