কড়া নিরাপত্তায় জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠক শুরু হয়েছে ভারতের কাশ্মীরে। তবে চীন এই বৈঠক বয়কট করেছে।
কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে সোমবার (২২ মে) থেকে বৈঠক শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে।
২০১৯ সালে বিশেষ ক্ষমতা বাতিলের পর এই প্রথম এত বড় আন্তর্জাতিক কোনো অনুষ্ঠান এই অঞ্চলে আয়োজন করা হলো।
জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর ৬০জন প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চীন অবশ্য বলে দিয়েছে, তারা এই বৈঠকের দৃঢ় বিরোধী। একইসঙ্গে তারা এতে অংশ নেবে না।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরের দাবি করে। তবে তারা উভয়েই আংশিক শাসন করে। পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটি ইতোমধ্যে এই অঞ্চল নিয়ে দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে।
গেল এপ্রিলে পাকিস্তান ভারতের কাশ্মীরে জি২০ বৈঠক আয়োজনের সমালোচনা করে। পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে দায়িত্বহীন বলে অভিহিত করে। পাকিস্তান অবশ্য জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশ নয়।
তবে ভারত অবশ্য বলছে, অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে জি২০ বৈঠক ও অনুষ্ঠান আয়োজন স্বাভাবিক বিষয়।
ভারত সরকার এবং কয়েকটি গণমাধ্যম কাশ্মীরে জি২০ বৈঠক আয়োজনকে আঞ্চলিক সংস্কৃতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছে।
বৈঠকের আগে থেকেই ভারত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা মহড়া চালিয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ হয়েছে। ভারত অবশ্য এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে দোষ দিয়ে থাকে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়।
চলতি বছর এই অঞ্চলে সশস্ত্র জঙ্গিদের হামলা বেড়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অবশ্য গণমাধ্যমে বলছেন, জি২০ বৈঠক ঘিরে কোনো হুমকি এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাশ্মীরে এলিট নিরাপত্তা বাহিনী, মেরিন কমান্ডো, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর থেকে জানা গেছে।
দাল লেক ও শ্রীনগরে শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জি২০ দেশগুলো থেকে আসা অতিথিদের ব্যবহার করা সড়কের আশপাশের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
আরএইচ