রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন প্রতি মাসে ১০ হাজার ড্রোন হারাচ্ছে। মূলত রাশিয়ান ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের কারণে ইউক্রেনকে এই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
ব্রিটেনের রয়াল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘মিটগ্রাইন্ডার: রাশিয়ান ট্যাকটিকস ইন দ্য সেকেন্ড ইয়ার অব ইটস ইনভেশন অব ইউক্রেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে যুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে আর্মার, ইনফ্যান্ট্রি এবং এয়ার পাওয়ারের চেয়ে রাশিয়ার ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের অংশটি সবচেয়ে বেশি নজরকাড়া। এটি যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
প্রতিবেদনটি ইউক্রেনের সামরিক কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রতি মাসে ১০ হাজার ড্রোনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তিনটি সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যদিও এই পরিসংখ্যানটি সম্পূর্ণরূপে সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু এই যুদ্ধে কয়েক হাজার সস্তা ড্রোন কয়েকটি ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমানের চেয়ে বেশি উত্তম ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে ইউক্রেন বলছে, ১৫ মাসে (চলতি বছরের ২১ মে পর্যন্ত) শুধুমাত্র দুই হাজার ৮১১টি রাশিয়ান ড্রোন ধ্বংস করেছে। কারণ রাশিয়ার মতো ইউক্রেনীয় ইলেকট্রনিক জ্যামিং সিস্টেম তেমন একটা উন্নত নয়। তবে ড্রোন খাতে ইউক্রেনের ক্ষতি প্রতি মাসে ১০ হাজারের কম হতে পারে।
ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, মার্কিন নির্মিত মটোরোলা ২৫৬-বিট এনক্রিপ্টেড টেকনিক্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করছে ইউক্রেন। অন্যদিকে রাশিয়া তার ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ব্যবহার করে সময় মতোই শত্রু ড্রোন মোকাবেলা করতে সক্ষম হচ্ছে।
সূত্র- ফোর্বস
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
এমএইচএস