পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানের আস্তোর জেলায় তুষারধসের ২৮ ঘণ্টা পর বরফের নিচ থেকে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ মে) তুষারধস অঞ্চলের উপত্যকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৭ মে) সকালে এ তুষারধসের ঘটনায় ৪ নারী ও ১ শিশুসহ ৮ জন নিহত হয়।
কর্মকর্তারা জানান, নিহতরা যাযাবর, তারা আজাদ কাশ্মীর থেকে আস্তোরের দিকে যাওয়ার সময় তুষারধসের ঘটনা ঘটে। তারা সবাই পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা ওয়াজির আসাদ আলী রোববার ডনকে জানায়, যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ মোহাম্মদ হোসেন নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে বরফের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উপত্যকায় তুষারধসের ২৮ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া তিনজনই এখন চিকিৎসাধীন আছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে এবং মরদেহগুলো পাঞ্জাব পাঠানো হচ্ছে।
৮ হাজার মিটার উচ্চতার ১৪টি বিশ্ববিখ্যাত শৃঙ্গের মধ্যে পাঁচটি এ অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলো ছাড়া গিলগিট-বালতিস্তানে ৭ হাজারেরও বেশি হিমবাহ রয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায়ই তুষারপাত, ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
২০১২ সালে গিলগিট-বালতিস্তানের স্কারদু জেলার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গায়রি এলাকায় ভয়াবহ তুষার ধসে কমপক্ষে ১২৯ পাকিস্তানি সেনা ও ১১ বেসামরিক লোক প্রাণ হারান।
সূত্র: ডন
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
জেএইচ