ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে গেছেন রুশ সেনারা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে গেছেন রুশ সেনারা!

ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলের একটি জলাধারের বাঁধ ধসে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক রুশ সেনা ভেসে গেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা। খবর সিএনএনের।

তিনি বলছেন, শুধু ভেসেই যায়নি; বাঁধ ধসের পর বিশৃঙ্খলায় অনেক রুশ সেনা হতাহত হয়েছেন। ড্রোনের মাধ্যমে রুশ সেনাদের পানিতে ভেসে যাওয়ার দৃশ্য দেখেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দানিপ্রো নদীর কূল ঘেঁষে তৈরি করা বাঁধটি ধ্বংসের পর আশপাশের এলাকাগুলো প্লাবিত হয়।

বাঁধটি খেরসনের নোভা কাখোভকা শহরে অবস্থিত। বর্তমানে রাশিয়ার দখলে রয়েছে কাখোভকা।  

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন আন্দ্রেই পিদলিসনি দাবি করে বলেন, ড্রোন ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছিল, বাঁধটি ধ্বংস হওয়ার পর দানিপ্রো নদীর এক পাশের পানি অপর পাশে অবস্থান নেওয়া রুশ সেনাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেল। সেখানে তাদের কেউ বাঁচতে পারেনি। তাদের সব রেজিমেন্ট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা ইউক্রেনের সেনাদের সামনেই বিষয়টি ঘটে।

ইউক্রেন সেনাদের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করতে রাশিয়া ইচ্ছেকৃতভাবে বাঁধটি ধ্বংস করেছে বলে দাবি ওই ক্যাপ্টেনের।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে রুশ সেনা দানিপ্রো নদীর বাঁ পাশে পানির উচ্চতা বাড়াতে কাখোভগা হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্ট উড়িয়ে দেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল ভবিষ্যতে যেন ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ না চালাতে পারে সেটি নিশ্চিত করা। ’

এদিকে রাশিয়া বলছে, পাল্টা হামলার ব্যর্থতা আড়াল করতে ইউক্রেন নাশকতা চালিয়ে বাঁধটি ধ্বংস করেছে।

উল্লেখ্য, নোভা কাখোভকা অঞ্চলের এই বাঁধটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি কৃষক ও বাসিন্দাদের পাশাপাশি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি সরবরাহ করত। এটি রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার দক্ষিণে পানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলও।

অবশ্য বাঁধ ধ্বংস হওয়ার আগেই হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন।  

এ বাঁধ ভেঙে গেলে অন্তত ৮০টি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।