অর্থনীতি পুনর্গঠনে একটি ‘গ্রিন মার্শাল প্ল্যান’ হাতে নিয়েছে ইউক্রেন। এটির প্রথম অংশ বাস্তবায়নের জন্য দেশটির প্রয়োজন হবে ৪০ বিলিয়ন ডলার।
আগামী বুধবার থেকে লন্ডনে শুরু হতে যাচ্ছে ইউক্রেন ও ব্রিটেনের একটি সম্মিলিত বৈঠক। দুই দিনের এই বৈঠকে রাজনীতিবিদ এবং অর্থদাতারা ইউক্রেনের এই স্বল্পমেয়াদী তহবিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছে, ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনর্গঠনে মোট খরচ হবে ৪১১ বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের তিনগুণ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে পশ্চিমা সমর্থকরা ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত ৫৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
অর্থনীতি পুনর্গঠনে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ বিলিয়ন ডলারের পরিসংখ্যান দিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপ-প্রধান রস্টিস্লাভ শুর্মা বলেছেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে লোহা ও ইস্পাত শিল্প।
এই খাতগুলো ২০২১ সালে ইউক্রেনীয় জিডিপিতে প্রায় ১০ শতাংশ অবদান রেখেছিল। এগুলো রপ্তানি আয়ের এক তৃতীয়াংশ যোগান দিয়েছিল। একইসঙ্গে প্রায় ছয় লাখ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল।
রস্টিস্লাভ শুর্মা বলেন, যদিও দেশের মোট কার্বনের ১৫ শতাংশই এই শিল্প থেকে নির্গমন হয়ে থাকে, তবে এখন নবায়নযোগ্য শক্তি দ্বারা একটি শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আপনাকে যদি পুনর্নির্মাণ করতেই হয়, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা যৌক্তিক...। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- ইউক্রেনে ৫০ মিলিয়ন টনের সবুজ ইস্পাত শিল্প গড়ে তোলা।
এর মাধ্যমে কম দামে ইস্পাত সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ইউক্রেন বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। একইসঙ্গে নতুন বায়ু, সৌর, পারমাণবিক এবং জলবিদ্যুতে বিনিয়োগের মাধ্যমে চালিত ডিকার্বনাইজ করার জন্য ইউরোপের প্রচেষ্টায় একটি প্রধান সমর্থন হবে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন জোরদার করতে ঋষি সুনাক আসন্ন সম্মেলনে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের এবং ব্রিটিশ ব্যবসায়িদের প্রতি আহ্বান জানাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এমএইচএস