ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কী থাকছে মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
কী থাকছে মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে?

রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দিল্লি ছেড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সকালে তিনি দিল্লি ছাড়েন।

তিন দিনের এই সফরে মোদি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রযুক্তি বিনিময়ে একটি চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে দুই দেশের।

সফরসূচিতে যা থাকছে

২১ জুন নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের দেওয়া নৈশভোজেও যোগ দেবেন তিনি

২২ জুন মোদিকে হোয়াইট হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।  

তার সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের মাধ্যমে দিনটি শেষ হবে।

২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে মোদি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিন মোদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিইও ও পেশাজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় রোনাল্ড রিগান সেন্টারে মোদি ভারতীয় কমিউনিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।  

সফর শুরুর আগে যা বললেন মোদি

সফর শুরুর আগে মোদি টুইটে লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সদস্য, চিন্তাবিদসহ অনেকেই আমার এবারের সফর নিয়ে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এমন সমর্থন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গভীরতা বাড়াবে।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার পর আমেরিকার ভিসা দেওয়া হয়নি নরেন্দ্র মোদিকে। তবে ২০১৪ সালে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বদলে যায়। এরপর একাধিকবার আমেরিকায় গিয়েছেন মোদি। এবার যাওয়ার আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে একান্ত সাক্ষাৎকারে অনেক কিছু বললেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস।

মার্কিন সফরে যাওয়ার আগে সেদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদপত্রের প্রশ্নের মুখোমুখি হন মোদি। মোদি বলেন, স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী আমি। তাই আমার চিন্তাধারা দেশের বর্তমান মনোভাবের সঙ্গে সামঞ্চস্যপূর্ণ। আমি দেশের সংস্কৃতির মধ্যে নিজের কাজ করার শক্তি খুঁজে পাই। আমার দেশ যেমন, আমি বিশ্বের সামনে ভারতকে সেভাবেই তুলে ধরি। আমি নিজে যেমন, সেভাবেই নিজেকেও বিশ্বের সামনে তুলে ধরি।  

প্রধানমন্ত্রী মোদির মার্কিন সফর থেকে যা আশা করা যাচ্ছে

প্রতিরক্ষা বিষয়ক আলোচনাসহ জেট ইঞ্জিন তৈরি সংক্রান্ত সম্ভাব্য একটি চুক্তি হতে পারে। বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে কর্ণাটকের রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের (হ্যাল) সঙ্গে জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে জেনারেল ইলেকট্রিক।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়েও নরেন্দ্র মোদি আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হতে পারে ভারতীয়দের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করা। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়ায় এমনকি ৬০০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটির (আইপিইএফ) অধীনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে অনুরোধ করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।