ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত 

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের প্রবেশপথে সোমবার মধ্যরাতে ২১ বছর বয়সী মোহাম্মদ হাসনাইন নামে আরেক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারান।

বাসিন্দারা বলছেন, ইসরায়েল সোমবার মধ্যরাতে জেনিনে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।  

ইসরায়েলি সশস্ত্র যানের একটি বহর শরণার্থী শিবির ঘিরে ফেলে এবং স্থলপথে সামরিক অভিযান চালায়। বাড়িঘর ও সড়কও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জেনিনে নিহতদের মধ্যে চারজনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করেছে। তারা হলেন সামিহ আবু-আল ওয়াফা, হুসাম আবু থিবা, আল-হানুন ও নূর এল-দিন মারশুদ। তাদের সবার মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছিল।  

হামলায় শরণার্থী শিবিরে অন্তত দুই ডজনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। অনেকের অবস্থা গুরুতর।  

সোমবার সকালেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শিবিরে অবরোধ অব্যাহত রাখে এবং সবকটি প্রবেশপথ ট্রাক্টর দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

আল-জাজিরার জেরুজালেম ব্যুরো চিফ ওয়ালিদ আল-ওমারি বলেন, দেড় শতাধিক সাঁজোয়া যান এবং সামরিক বাহিনী ও এলিট স্পেশাল ফোর্সের প্রায় হাজার সৈন্য, পুলিশ ও সীমান্ত পুলিশ এই অভিযানে অংশ নেয়।

তিনি বলেন, তারা ক্যাম্পে সম্পূর্ণভাবে অবরোধ আরোপ করে। স্পেশাল ফোর্স ক্যাম্পে অভিযানের পাশাপাশি বাড়িঘরে তল্লাশি চালায়, বহু লোককে গ্রেপ্তার করে।  

আহতদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জরুরিভাবে আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা রেডক্রসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে, নিরাপদ বহির্গমন পথ খুলে দেওয়ার জন্য। আহতদের সংখ্যা বাড়ছে।

জেনিনের ইবনে সিনা হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান তৌফিক আল-শোবাকি আল জাজিরাকে বলেন, এখনও শিবিরে আহত লোকজন রয়েছে। তাদের কাছে পৌঁছাতে মেডিকেল টিম বাধায় পড়ছে।

তিনি বলেন, আহতদের সার্জারি করতে হচ্ছে। আইসিইউতে লোকেরা রয়েছেন। তাদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরে তাদের সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আহত লোকেদের সংখ্যা বাড়তে পারে। এমন শঙ্কা রয়েছে। আমরা জেনিনের বাইরে-ভেতরে আরও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করছি যাতে আরও আইসিইউ ও সার্জারি কক্ষ ব্যবস্থা করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।