পাকিস্তানের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা দিয়েছে, বহুল-প্রতীক্ষিত সাধারণ নির্বাচন আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) বলেছে, এই নির্বাচন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন আসনগুলোর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৫৪ দিনের প্রক্রিয়ার পর জানুয়ারির শেষে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই-বাছাই, আপিল, প্রচারণা ইত্যাদি।
২৪১ মিলিয়ন বা ২৪ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বিদায়ী পার্লামেন্ট আগস্টে তার পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে। এরপর ভোট তদারকির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানো হয়।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে।
পাকিস্তান যখন গুরুতর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে, ঠিক তখন নির্বাচনের ঘোষণা এলো।
গেল বছরের এপ্রিলে আস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয়। ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) এর পর থেকেই আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
আর গেল মাসে ইমরান দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হন এবং তিন বছর কারাদণ্ডপাপ্ত হন। দেশটির একটি উচ্চ আদালত ইমরানের সাজা স্থগিত করেছে।
তবে ইমরান সাইফার মামলায় আইনি হেফাজতে রয়েছেন। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লাভের জন্য একটি গোপনীয় কূটনৈতিক বার্তার বিষয়বস্তু প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
আরএইচ