ঢাকা, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জুন ২০২৪, ২২ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

শিফা ও কুদস হাসপাতালের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
শিফা ও কুদস হাসপাতালের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত আল শিফা ও আল কুদসের কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি সংকটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জ্বালানি সংকটের কারণে রোববার হাসপাতাল দুটির সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। বন্ধ করা হয় সব ধরনের অপারেশন।

দুটি বড় হাসপাতাল বন্ধ হয়ে পড়ায় গাজায় মৃত্যু বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংকট এড়াতে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছে, রোগী, তাদের স্বজন, আশ্রয় নেওয়াসহ হাসপাতালে কর্মরত সবাই সেখানে বিদ্যুৎ, পানি ছাড়া অবস্থান নয়। আল শিফার বাইরে ইসরায়েলিরা অপেক্ষা করছে। তারা কারও নড়াচড়া দেখলেই গুলি করছে। হাসপাতাল কম্পাউন্ড থেকে বের হওয়া নিরাপদ নয়। এভাবে চলতে পারে না। আমাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে আমাদের স্টাফ ও রোগীদের নিরাপদে বের করে নিয়ে যাওয়া দরকার।

একেবারে আল শিফার মতো পরিস্থিতি না হলেও আল কুদস হাসপাতালের অবস্থাও নাজুক। বিদ্যুৎ, পানি ও পর্যাপ্ত রসদ না থাকায় হাসপাতালটি পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

এ দুই হাসপাতাল ছাড়াও বন্ধ হয়ে গেছে উত্তর গাজার কামাল ইদওয়ান হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বলেছেন, জ্বালানির অভাবে হাসপাতালটির মূল জেনারেটর কাজ করছে না। যে কারণেই বন্ধের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।

আল-শিফা হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টিতে সবব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়াসুস। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, হাসপাতালগুলো যেখানে মানুষকে বাঁচানোর কথা সেগুলো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব চুপ করে বসে থাকতে পারে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে অন্তত ৬৫০ রোগী, প্রায় ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী ও দেড় হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন। হামলা ও জ্বালানি সংকটে হাসপাতালের তিনজন নার্স নিহত হয়েছেন। তিন নবজাতকসহ এ হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৮ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী-ও শিশু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।