ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ জনসংখ্যার সবাই ক্ষুধা সংকটের সম্মুখীন, সেখানে প্রতিদিনই দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চ মাত্রায় ক্ষতির শিকার পরিবারের অনুপাত বিশ্বে সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজায় ক্ষুধার মাত্রা আফগানিস্তান ও ইয়েমেনের নিকট-দুর্ভিক্ষকেও গ্রাস করেছে।
গাজার সবাই ক্ষুধার্ত
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হুসাইন বলেন, গাজায় যত দ্রুত ঘটছে, মাত্র দুই মাসের মধ্যে, এমন মাত্রায় আমি এর আগে দেখিনি।
জাতিসংঘ ও বেসরকারি ২৩টি সংস্থা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজায় সব বাসিন্দা খাদ্য সংকটে রয়েছেন। সেখানে পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার বাসিন্দা বিপর্যয়কর বা অনাহারের স্তরে রয়েছেন।
আরিফ হুসাইন বলেন, এটি এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে গাজার প্রায় সবাই ক্ষুধার্ত। লোকজন রোগের বড় প্রাদুর্ভাবের খুব কাছাকাছি। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে, কারণ তাদের পর্যাপ্ত পুষ্টি নেই।
প্রতিবেদনটি বলছে, গাজায় প্রত্যেকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চমাত্রার মুখোমুখি হবেন।
২৩টি সংস্থা গাজায় সম্ভাব্য দৃশ্যকল্প নিয়ে আভাস দিয়ে বলেছে, যুদ্ধ শুরুর চার মাস পর অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গাজার সবাই ক্ষুধা বিপর্যয়ে পড়বেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
আরএইচ