পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের সব আসনের ফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা, আলোচনা ও বিতর্ক।
এবারের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করতে নজিরবিহীন সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ১০ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫৫টির বেসরকারি ফল জানা গেছে। দেশটিতে অতীতে এমন নজির নেই। এমনকি ভোটের দিন মোবাইল ফোন সেবা ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করারও নজির এর আগে ছিল না। এ নিয়ে বেশ সমালোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক সমাজ ভোটের দিন মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করাসহ যাবতীয় অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান দাবি করেছেন, তার দল ১৭০ আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু অনেক আসনে পিটিআই প্রার্থীকে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত নিশ্চিতভাবে দাবি করছি যে, জাতীয় পরিষদের ভোট হওয়া ২৬৫ আসনের মধ্যে পিটিআই ১৭০টিতে জয়লাভ করেছে। নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে ৯৪টি স্বীকার করছে এবং ফরম-৪৭ (অস্থায়ী ফলাফল) জারি করেছে।
গোহর আরও বলেন, ২২টি আসন- যার মধ্যে ইসলামাবাদের তিনটি, সিন্ধুর চারটি এবং পাঞ্জাবের বাকি আসনগুলোতেও পিটিআই জিতেছিল। কিন্তু সেগুলোতে পিটিআই প্রার্থীদের পরাজিত দেখানো হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর এখন পর্যন্ত সবগুলো আসনের ফল ঘোষণা করা হয়নি। ভোট হওয়া ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫৫ আসনের ফল জানা গেছে। এর মধ্যে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয় দেখানো হয়েছে ১০০ আসনে। নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭৩ আসন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪ আসন এবং অন্যান্য দল পেয়েছে ২৮টি (ফল: জিও টিভি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক