ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ত্রাণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ, শঙ্কায় গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
ত্রাণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ, শঙ্কায় গাজাবাসী

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক ফিলিস্তিনি ভাবছেন, কীভাবে তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেবেন।

মার্কিন দাতব্য সংস্থা আনেরাও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় কর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়ায় এ পদক্ষেপ নিল সংস্থাটি।  

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ত্রাণ বিতরণে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা, চলমান যুদ্ধ এবং শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার কারণে বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন হচ্ছে আনুমানিক ১১ লাখ লোক। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে সংস্থা দুটি একসঙ্গে সপ্তাহে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিতে ২০ লাখ লোককে খাবার সরবরাহ করছিল।  
 
ডব্লিউসিকের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সাইপ্রাস থেকে ত্রাণ আসার সামুদ্রিক করিডোরও রুদ্ধ করে দিচ্ছে। দুর্ভিক্ষ এড়াতে গাজার উত্তর দিক দিয়ে ত্রাণ প্রবেশের জন্য করিডোর স্থাপনে সহায়তা করেছিল দাতব্য সংস্থাটি।  

সোমবার রাতে ডব্লিউসিকের গাড়িবহরে হামলা হয়। বহরটি ইসরায়েলের নির্ধারিত উপকূলীয় রুট ধরে যাচ্ছিল। দেইর-আল বালাহতে একটি বার্জ থেকে গুদামে বা একশ টনের বেশি খাদ্য নামিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই গাড়িবহরটি হামলার শিকার হয়।

বার্জের ত্রাণ চারটি জাহাজে আসা ত্রাণের অংশ। হামলার পর ২৪০ টন ত্রাণ নিয়ে জাহাজগুলো পুনরায় সাইপ্রাসে ফিরে গেছে।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা পুরো ত্রাণ ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তা খাদের কিনারে নিয়ে গেছে।

ডব্লিউসিকে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘জেনেবুঝেই’ তাদের স্পষ্ট লোগো সংবলিত গাড়িগুলোতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা পথে বের হয়েছিল। নিহত সাতজনের মধ্যে ব্রিটিশ, পোলিশ, অস্ট্রেলীয়, ফিলিস্তিনি ও যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার একজন দ্বৈত নাগরিক ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।