থাই পার্লামেন্ট পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা।
৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
সাংবিধানিক আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বরখাস্ত হওয়ার দুদিন পরই পেতংতার্নের নিয়োগের খবর এলো। তারা দুজনই অবশ্য ফেউ থাই পার্টির নেতা। দলটি ২০২৩ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় হয়ে জোট সরকার গঠন করে।
পেতংতার্ন এখন থাইল্যান্ডের স্থবির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়ানোর মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ভোটের পর পেতংতার্ন সাংবাদিকদের বলেন, জীবনমানের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি থাই জনগণের ক্ষমতায়ন এবং সুযোগ সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে আমি তাদের আত্মবিশ্বাসী বোধ করাতে পারব বলে আশা করছি।
তাকে দৃশ্যত অভিভূত মনে হচ্ছিল, উত্তেজনায় তার হাত কাঁপছিল। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি সেরা কিংবা সবচেয়ে মেধাবীও নন।
তিনি বলেন, আমি সবসময় মনে করি, আমার দৃঢ় ইচ্ছে রয়েছে। আমার একটি ভালো দল রয়েছে... আমার দল শক্তিশালী, অভিজ্ঞ, সংকল্পবদ্ধ। আমাদের চিন্তা একই। এটি এমন কিছু, যা আমার কাছে বেশ মূল্যবান।
পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের একটি অভিজাত স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিলেন। পারিবারিক রেনদে হোটেল গ্রুপের জন্য কয়েক বছর কাজও করেছেন। তার স্বামী উপ-প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।
২০২১ সালে পেতংতার্ন দলে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালে দলের নেতা হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
আরএইচ