অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘গণহত্যা চালানোর’ অভিযোগ এনেছে। বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ আনে লন্ডনভিত্তিক অধিকার সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলছে, ‘ইসরায়েলি সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের অমানবিক ও গণহত্যামূলক বিবৃতি’, স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে পাওয়া ধ্বংসযজ্ঞ এবং গাজাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি প্রধান আনিয়েস কালামার এক বিবৃতিতে বলেন, মাসের পর মাস ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে মানবাধিকার ও মর্যাদার অযোগ্য একটি অধম গোষ্ঠী হিসেবে আচরণ করেছে, তাদের শারীরিকভাবে শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রদর্শন করেছে।
তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জেগে ওঠা উচিত। এটি গণহত্যা। এটি অবশ্যই এখনই থামাতে হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েল নিয়মিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। হামাস ফিলিস্তিনিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের।
কালামার জানান, অ্যামনেস্টির ৩০০ পাতার প্রতিবেদনে যে ঘটনাগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে হামাসের কোনো উপস্থিতি ছিল না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ বছরের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় চালানো ১৫টি বিমান হামলার ঘটনা উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি বলেছে, সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এসব হামলায় ১৪১ শিশুসহ ৩৩৪ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হাজার হাজার মৃত্যু এবং শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ট্রমার পাশাপাশি গাজাবাসী অপুষ্টি, ক্ষুধা ও রোগের শিকার এবং ধীরে মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছে।
যেসব দেশ ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে, তারা গণহত্যা প্রতিরোধের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন কালামার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় অন্তত ৪৪ হাজার ৫৩২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক। জাতিসংঘ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্বাসযোগ্য মনে করে।
ডয়চে ভেলে অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
আরএইচ