ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অ্যাপেক সম্মেলন

হ্যান্ডশেকেও মুখ ভার জিনপিং-আবে’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৪
হ্যান্ডশেকেও মুখ ভার জিনপিং-আবে’র ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পূর্ব চীন সাগরে বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা তিক্ত বিবাদের পটভূমিতেই মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হলেন এশিয়ার জায়ান্ট চীন ও জাপানের দুই শীর্ষ কর্তা।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চলমান এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সোমবার প্রায় আধাঘণ্টা মুখোমুখি কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।



বৈঠকের বিস্তারিত খুব বেশি জানা সম্ভব না হলেও বৈঠক শেষে ক্যামেরার সামনে করমর্দনের সময় দুই জনের চেহারায় ফুটে ওঠা অভিব্যক্তিই বলে দিলো দুই দেশের সম্পর্কের তিক্ততা আসলে কতটা গভীর।

শি জিনপিংয়ের চেহারায় প্রকাশ পেলো শিনজো আবের সঙ্গে হ্যান্ডশেকে তার কতটা ‍অনীহা, অপরদিকে হ্যান্ডশেকের সময় শিনজো আবেকে মনে হলো কিংকর্তব্যবিমুঢ়।

আসলে বিতর্কিত দ্বীপ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং দুই দেশের অতীত ইতিহাস, এসব বিষয়ে দুই দেশের তিক্ততাই শেষ পর্যন্ত ছায়া ফেলে দুই নেতার বৈঠকে। বৈঠক শেষে চীনা প্রেসিডেন্টের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে ফুটে ওঠা শীতলতাতেও বিষয়টি পরিষ্কার। হ্যান্ডশেকের সময় শি জিনপিং হাসেন নি এমনকি শিনজো আবে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

তবে এ সব সত্ত্বেও বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এই বৈঠক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা।

দুই দেশের প্রায় মাঝখানে সাগরের গহীনে অবস্থিত মনুষ্যবিহীন কিন্তু কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জটি চীনে দাইয়ু এবং জাপানে সেনকাকু নামে পরিচিত। বর্তমানে এই দ্বীপপুঞ্জ জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ঐতিহাসিক অধিকারের দাবিতে এর মালিকানার দাবি করে আসছে চীন।

অবশ্য বৈঠকের পর জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রথম ধাপ। এছাড়া সমুদ্রে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঘটলে তা মোকাবিলায় একটি হটলাইন স্থাপনের ব্যাপারেও একমত হয়েছেন তারা।

সম্প্রতি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে দুই দেশের সংঘাত চরমে পৌঁছে। দুই দেশের কোস্টগার্ডের সদস্যরাই একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক আচরণ করে। যার ফলে যে কোনো সময় ওই দ্বীপপুঞ্জকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়।

অপরদিকে শি জিনপিং জাপানি প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, চীন মনে করে জাপান শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসরণের পাশাপাশি পরিণামদর্শী সামরিক ও নিরাপত্তা নীতি গ্রহণ করবে।

দুই দিন ব্যাপী ২১ জাতি অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা বর্তমানে বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের উভয় প্রান্তের দেশগুলো এই জোটের সদস্য। বিশ্বের ৪০ শতাংশ জনসংখ্যা, ৪৪ শতাংশ বাণিজ্য এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির অর্ধেক এই দেশগুলোর দখলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।