ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পঞ্চায়েতের নির্দেশ অমান্য

উত্তর প্রদেশে দিনদুপুরে দম্পতিকে জবাই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৪
উত্তর প্রদেশে দিনদুপুরে দম্পতিকে জবাই ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতের উত্তর প্রদেশে ভিন্ন ধর্মের এক দম্পতিকে দিনদুপুরে জবাই করা হয়েছে। বিয়ের পর পঞ্চায়েতের নিদের্শ অমান্য করে একসঙ্গে থাকার জন্য তাদের হত্যা করা হয়।

শনিবার উত্তর প্রদেশের হাপুরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

হিন্দু ধর্মালম্বী সনু (২২) চারমাস আগে দানিসতা বেগম (২১) নামে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করে। তারপর ফতেহপুর গ্রামে মেয়েটি স্বামীর বাড়িতে উঠে। ফতেহপুর দিল্লি থেকে ৭৫ কি.মি দূরে।

গত ১৫ বছর ধরে সনু ও দানিসতার পরিবার এ গ্রামে থাকছে।

সম্প্রতি মেয়েটির পরিবার থেকে তাদের বিয়ে হয়নি বলে দাবি করা হয়। কারণ পরিবারের দাবি তারা বিয়ে সার্টিফিকেট দেখেনি। বিষয়টি পঞ্চায়েতে গড়ায়। পঞ্চায়েত তাদের আলাদা থাকার নিদের্শ দেয়।

কিন্তু ওই দম্পতি বলছে তারা কোর্টে বিয়ে করেছেন। বাধ্য হয়ে দানিসতা তার বাপের বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু এক সপ্তাহ পর স্বামীকে দেখতে গেলে দানিসতার পরিবার মেনে নিতে পারেনি।

পঞ্চায়েতের নির্দেশ অমান্য করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য শনিবার দানিসতার ভাই তালিব উত্তেজিত হয়ে উঠে। সবার সামনেই ভগ্নিপতি সনুকে তলোয়ার দিয়ে জবাই করে। তার বোন বাধা দিতে আসলে তার গলায়ও তলোয়ার চালানো হয়। মারা যায় সেও।

ঘটনার পর তালিব ও দানিসতার মা থানায় আত্মসমর্পন করেছে। পুলিশ হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার করেছে।

সনুর বাবা বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা হিসেবে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে তারা সংখ্যালঘু।

হাপুর থানার এসপি রাজিনদার কুমার বলছেন, জাত বা ধর্মের কারণ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়নি। পঞ্চায়েতের আদেশ অমান্য করায় তাদের হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৪


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।