ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রাখে আল্লাহ মারে কে

কবর দেওয়ার ২ ঘণ্টা পর জীবিত নবজাতক উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৪
কবর দেওয়ার ২ ঘণ্টা পর জীবিত নবজাতক উদ্ধার ছবি :সংগৃহীত

ঢাকা: কথায় আছে, ‘রাখে আল্লাহ মারে কে?’ সত্যিই কাউকে সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখলে কেউই তাকে মারতে পারে না। এই কথাটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো চীনে।



দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিওনিং প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় এক নবজাতককে কবর দেওয়ার দু’ঘণ্টা পর উঠিয়ে দেখা গেল সে তখনও জীবিত।

সাম্প্রতিক এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, লিওনিং প্রদেশের ডংডং নামে একটি খামারে কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা লু ঝিওইয়ুনের স্ত্রী হে ইয়ং। হঠাৎ পেট ব্যথা শুরু হয় ইয়ংয়ের। খবর পেয়ে মাঠ থেকে ছুটে আসেন ঝিওইয়ুন।

এরই মধ্যে ইয়ং এক নবজাতকের জন্ম দিয়ে ফেলেন। স্বভাবতই রক্তে ভেসে যাচ্ছিল তার শরীর। স্বামী ঝিওইয়ুন স্ত্রী ও সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে উদ্যত হন। কিন্তু ইয়ং নিজেকে ভেবেছিলেন চার মাসের সন্তানসম্ভবা। তাই নবজাতকের জন্মকেও গর্ভস্রাব ভেবে তাকে মৃত বলে মনে করেন।

স্ত্রীর এ কথায় কেবল তাকে নিয়েই হাসপাতালে ছুটে যান ঝিওইয়ুন। পরে এ ব্যাপারে আলাপ করলে চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকটি জীবিত থাকতে পারে।

মুহূর্তেই গ্রামে ফিরে আসেন ঝিওইয়ুন। সঙ্গে নিয়ে আসেন চিকিৎসকদের। কিন্তু গ্রামে এসে জানতে পারেন তার মা অর্থাৎ ইয়ংয়ের শাশুড়ী দু’ঘণ্টা আগেই বাড়ির সামনে একটি গাছের নিচে নবজাতককে কবর দিয়ে ফেলেছেন।

চিকিৎসকরা শিশুটিকে মাটি খুঁড়ে তুলে দেখেন তার হৃদপিণ্ড তখনও সচল। দ্রুত নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক ঝিওইয়ুনের পক্ষে হাসপাতালের খরচ চালানো দুঃসাধ্য হলেও স্থানীয় বিত্তবানদের সহযোগিতায় এখন তার সন্তান ও স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে নির্বিঘ্নে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।