ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভাবির চুমুতে বিয়ে ভাঙলো দেবরের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৪
ভাবির চুমুতে বিয়ে ভাঙলো দেবরের!

ঢাকা: বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনেকে একে একে সবাই আশীর্বাদ করছেন। মা-বাবা,খালা-খালু, চাচা-চাচী, পাড়া-পড়শী সবাই।

নতুন ঘর বাঁধতে যাওয়া যুগলকে ‘স্বর্গজুটি’ আখ্যা দিচ্ছিলেন সবাই। প্রায় সবার আশীর্বাদের পর এগিয়ে এলেন বরের ভাবি। বর-কনের মাথায় হাত রেখে হাসিমুখে আশীর্বাদ করলেন। ‍সারাজীবন যেন দু’জনের মন এভাবে এক সুতোয় বাঁধা থাকে সে শুভকামনাও করলেন। এতটুক পর্যন্ত বিয়ের আসরের দৃশ্যপট পুরোপুরি ঠিকঠাক ছিল।

কিন্তু আদুরে দেবরের গালে চুমু দিয়েই ‘লঙ্কাকাণ্ড’ বাধিয়ে দিলেন ভাবি। নিজের বরের গালে ‘পরনারী’র চুমু দেখে একেবারে রাগে-ক্ষোভে বিয়ের আসরই ছেড়ে গেলেন কনে। সোজাসাপটায় বিয়ের অনুষ্ঠানই পণ্ড হয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) রাতে এই কাণ্ড ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলীগড়ে।

কনেপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, কেবল চুমু খেয়েই ক্ষ্যান্ত থাকেননি ভাবি, বরকে সঙ্গে নিয়ে নেচেছেনও। এমনটি সহ্য হবে কোন মেয়ের?

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, অভিজাত ও শিক্ষিত দুই পরিবারের সামগ্রিক সম্মতিতে এ বিয়ে হতে চললেও কেবল ‘চুমকাণ্ডে’ই পণ্ড হয়ে গেল বিয়ে। কেবল বিয়ে পণ্ডই হয়নি। দুই পরিবারের লোকজন ঝগড়ায়ও জড়িয়েছেন। অবস্থা এতোদূর গড়ায় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে অনুষ্ঠানে আগত অতিথি আলীগড়ের মেয়র শকুন্তলা ভারতীকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়, আসতে হয় পুলিশকেও।

দুই কথিত ‍অভিজাত পরিবারের এই কাণ্ডে উপস্থিত প্রায় শ’ পাঁচেক অতিথির মতো হতভম্ভ হয়ে যান শকুন্তলা ভারতীও।

তিনি বলেন, পারিবারিক ঝামেলা এতোদূরই গড়িয়েছিল যে আমাকেই হস্তক্ষেপ করতে হলো। বিশেষত, কনেপক্ষের লোকজন বেচারা বরকে আটকে রাখায় চুপ থাকতে পারিনি।

অবশ্য, এ কাণ্ডের জল বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম পর্যন্ত গড়িয়ে গেলেও থানার উঠোন ছঁতে পারেনি। কারণ, দু’পক্ষই পারিবারিক সম্মানের ব্যাপারে ভীষণ সচেতন!

বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।