ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

উল্কাবৃষ্টিতে ভেজান মন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪
উল্কাবৃষ্টিতে ভেজান মন

ঢাকা: জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে উৎসাহীরা হাতের কাজকর্ম শেষ করে নিন। কাজকর্ম শেষে গরম কোট বা শাল পরে ছাদে বা বাড়ির উঠোনে আয়েশ করে চেয়ার বা মাদুর পেতে বসুন।

কারণ, খানিকবাদেই উল্কাবৃষ্টি হবে। বিশেষত শনিবার রাতে যারা এই উল্কাবৃষ্টিবিলাসে মাততে পারেননি, তারা হৃদয়চোখের নজর রাখুন আকাশে। শীতে জলে ভেজা দুঃসাধ্য হলেও উল্কাবৃষ্টিতে ভেজার সুযোগ নিশ্চয় হাতছাড়া করতে চাইবেন না কোনো প্রকৃতিপ্রেমী।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহ পৃথিবী তার কক্ষপথের এমন একটি এলাকায় এখন অবস্থান করছে, যখন বায়ুমণ্ডলে হাজার হাজার উল্কাপিণ্ড আঘাত করছে। চলতি পুরো সপ্তাহেই (আন্তর্জাতিক মান সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত) উল্কাপাত চলছে। তবে পূর্ণিমার তিন দিন পর কৃষ্ণপক্ষে অর্থাৎ শনি ও রোববার (১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর) এই উল্কাবৃষ্টি অনেক বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। সূর্য ডোবার ঘণ্টাকয়েক পরই দক্ষিণ-পূর্ব দিগন্তে এই উল্কাপাত নজর কাড়বে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, বছর শেষান্তের এই সময়টায় পৃথিবী গ্রহে আঘাত হানে মিথুন রাশি নক্ষত্রপুঞ্জের উল্কা বা জেমিনিড মেটিওরস।

তাদের মতে, আগস্টে যে পারসেইড উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে আঘাত হানে তার চেয়েও অনেক বেশি এবং উজ্জ্বল হয় জেমিনিড উল্কাপিণ্ড।

ঘণ্টায় শ’খানেকেরও বেশি জেমিনিড উল্কাপাত হয়ে থাকে বলে ধারণা করে থাকেন বিজ্ঞানীরা।

আবহাওয়ায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা না গেলে কোনো ধরনের যন্ত্র-মন্ত্র ছাড়াই পরিচ্ছন্ন আকাশে চমৎকার উল্কাপাত উপভোগ করা যায়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের তথ্যানুযায়ী, আকাশ পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার পরই কিছু উল্কাপাত হয়। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উল্কাপাতের সংখ্যাও।

তো? তাহলে প্রিয়জন-বন্ধুকে নিয়ে উল্কাবৃষ্টিতে ভিজতে প্রস্তুতি নিন!

ও হ্যাঁ, উল্কাবৃষ্টিবিলাসে বসে যেন পলক ফেলবে না, কারণ একেকটি জেমিনিড উল্কাপিণ্ড প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কিলোমিটার গতিতে পতিত হয়, আর ১-২ সেকেন্ডের মধ্যে পুরো আকাশজুড়ে সুন্দর আলোবৃত্ত তৈরি করে মিলিয়ে যায়।

তাহলে, হ্যাপি উল্কাবৃষ্টিবিলাস!

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।