ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সমুদ্রে ভাসছে এয়ার এশিয়ার আরোহীদের মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
সমুদ্রে ভাসছে এয়ার এশিয়ার আরোহীদের মরদেহ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা:  ইন্দোনেশিয়ার গভীর সমুদ্রে এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ প্লেনের আরোহীদের ভাসতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ।

১৬২ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ এর কয়েকজন যাত্রীর মরদেহ সমুদ্রে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ও উদ্ধার মন্ত্রণালয়ের পরিচালক এসবি সুপ্রিয়াদি।



মঙ্গলবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মরদেহগুলো এখনো অক্ষত রয়েছে। নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে এগুলোকে উপকূলে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এছাড়া নৌবাহিনী কর্মকর্তা মানাহান সিমোরাঙকিংর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিভি ওয়ানকে বলেন, অনেক আরোহীকে পাওয়া গেছে। তবে তারা জীবিত না মৃত সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

তবে বিমান বাহিনীর মুখপাত্র হাদি তাজানতো কমপক্ষে একটি মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে ইন্দোনেশিয়ার বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা অগাস দুই পুতরান্তো এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়ার কথা জানান।

তিনি বলেন, প্লেনটির রাডারের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগের স্থান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ১০টি ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়া গেছে। এছাড়া সাদা রঙের ছোট ছোট আরো কয়েকটি ‘বস্তু’ পাওয়ার কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অগাস বলেন, আমরা একটি জরুরি স্লাইড, প্লেনের দরজা ও চারকোণাকৃতি একটি বক্সের ছবি শনাক্ত করেছি।

এ সময় তিনি প্লেনের দরজা, স্লাইড ও বক্সের ছবি সবার সামনে তুলে ধরেন। নিখোঁজ প্লেনটির উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

এর আগে ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের কাছাকাছি জাভা সাগরে প্লেনের বস্তু ‘সদৃশ’ অনেক কিছু ভাসতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছিলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

এদিকে, উদ্ধার অভিযানকারী দলে থাকা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের এক চিত্রগ্রাহক একটি লাইফ জ্যাকেট ও কমলা রঙের একটি টিউব শনাক্তের কথা জানিয়েছেন।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে উড়াল দেওয়ার পর এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটটি সকাল ৭টা ২৪ মিনিটের পর থেকে সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিলো প্লেনটির।

প্লেনটিতে ৭ ক্রু ও ১৫৫ যাত্রী মিলিয়ে মোট ১৬২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ২ পাইলট ৫ ক্রেবিন ক্রু ছাড়া ১৪৯ জন যাত্রীই ইন্দোনেশিয়ান। বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজন কোরিয়ান, একজন মালয়েশিয়ান, একজন সিঙ্গাপুরিয়ান ও একজন ফরাসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪/আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা

** এয়‍ার এশিয়ার ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়ার দাবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।