ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুর্নীতি মামলায় আদালতে সোনিয়া-রাহুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
দুর্নীতি মামলায় আদালতে সোনিয়া-রাহুল ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইংরেজি দৈনিক ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে পৌঁছেছেন ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেস দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও তার পুত্র দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। আদালতে তারা জামিন চাইবেন বলে মনে করা হচ্ছে।



সাবেক ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের প্রধান দুই নেতা শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারিক আদালতে পৌঁছান। তাদের সঙ্গে আছেন সোনিয়ার কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

সোনিয়া-রাহুলসহ কংগ্রেসের ছয় নেতার বিরুদ্ধে বিলুপ্ত প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ন্যাশনাল হেরাল্ড নামমাত্র ক্রয়ের নামে কোটি কোটি রুপির সম্পত্তি আত্মসাতের মামলা রয়েছে। ২০১২ সালের ১ নভেম্বর দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ‍আদালতে মামলাটি করেছিলেন তৎকালীন জনতা পার্টির সভাপতি ও বর্তমান বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

এই মামলায় ২০১৪ সালের আগস্টে সোনিয়া ও রাহুলকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত। কিন্তু সশরীরে হাজিরার ওপর প্রাথমিক  স্থগিতাদেশ দেন দিল্লি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চেই খারিজ হয়ে যায় সোনিয়া-রাহুলের আদালতে হাজিরা দিতে না চাওয়ার আবেদন। আদালত সোনিয়া-রাহুল কিংবা অন্য কেউই হাজিরা এড়াতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্তও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন না সোনিয়া ও রাহুল। এতে তাদের বিরুদ্ধে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ এলে কংগ্রেস নেতারা জেলেও যাবেন। কিন্তু নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করবেন। শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কংগ্রেস এখন বলছে, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সোনিয়া-রাহুল মামলার অভিযোগ থেকে নির্দোষ প্রমাণ হবেন।

কংগ্রেস সূত্র বলছে, আদালতে জামিন পেলে সোনিয়া ও রাহুল তাদের দলের দিল্লির আকবর রোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে ইতোমধ্যেই জড়ো হয়েছেন কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। কংগ্রেসের দুই নেতা কার্যালয়েই এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।

১৯৩৮ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। একসময় অর্থাভাবে পত্রিকাটি চালাতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। সেসময় কংগ্রেসের পার্টি তহবিল থেকে নব্বই কোটি রুপি ঋণ দেওয়া হয়। এরপরও অর্থাভাব না কাটায় ২০০৮ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির কাছে মাত্র পঞ্চাশ লাখ রুপিতে এটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।

বাদী সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিংহভাগ শেয়ার গান্ধী পরিবারের। তিনি দাবি করছেন, পত্রিকা কেনার নামে ন্যাশনাল হেরাল্ডের কোটি কোটি রুপির সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন রাহুল-সোনিয়ারা।

তবে কংগ্রেস মনে করছে, মামলা ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা চলছে। এ নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও দায়ী করছেন রাহুল গান্ধী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।