ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে এখনও লুকিয়ে ২ জঙ্গি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে এখনও লুকিয়ে ২ জঙ্গি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতের পাঞ্জাবের উত্তরাঞ্চলে দেশটির পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলাকারী দুই জঙ্গি এখনও লুকিয়ে আছে। তবে তাদের ‘প্রতিরোধ’র চেষ্টা করছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী।



যৌথবাহিনীর বরাত দিয়ে রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়। সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছে। বিমানঘাঁটির ভেতরে কিছুক্ষণ পরপর গুলির শব্দ হচ্ছে।

শনিবার (২ জানুয়ারি) ভোরে ওই বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার হামলার পর থেকে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী। সকালে জানানো হয়, যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে বিমানঘাঁটির ভেতরে বিস্ফোরণ হয়। একইসঙ্গে গুলির শব্দও শোনা যায়। তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য আহত হলেও কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সেনা ও বিমানবাহিনী মনে করছে ঘাঁটিতে ছয় জঙ্গি হামলা করেছে। এরমধ্যে চার হামলাকারী ১৭ ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও পঞ্চম ও ষষ্ঠ হামলাকারী ভেতরে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে খবর মনে করা হচ্ছে। ওই জঙ্গিকে ধরতে এবং বিমানঘাঁটি নিরাপদ বলে নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় দিনেও অভিযান অব্যাহত রেখেছে যৌথ বাহিনী।

এদিকে, জঙ্গি হামলায় আহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিরঞ্জন নামে সেনাবাহিনীর আরও এক সদস্য নিহত হয়েছেন। রোববার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ নিয়ে হামলায় সেনাবাহিনীর নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতে।

যৌথ বাহিনী জানিয়েছে, অভিযানে বিমানঘাঁটি থেকে জঙ্গিদের ব্যবহৃত ট্র্যাকিং ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্তে পাঠানকোটে পৌঁছেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) আট সদস্যের একটি দল।

ঘটনা তৎক্ষণাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পাড়িকর। পাঞ্জাব প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সেনা পোশাক পরে ওই বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গিরা। তৎক্ষণাৎ তাদের প্রতিরোধে অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। প্রায় ছয় ঘণ্টা অভিযানের পর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গুলি বিনিময় বন্ধ হয়। এরপর বিমানঘাঁটিতে শুরু হয় চিরুনি অভিযান। এ অভিযান চলাকালেই স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টার দিকে সেখানে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এর পরপর গ্রেনেড বিস্ফোরণেরও আওয়াজ পাওয়া যায়।

শনিবার সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, বিমানঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর চার সদস্য ও চার হামলাকারী নিহত হয়েছেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর বিমান বাহিনীর আরও দুই সদস্য নিহত হন।

হামলার পর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানকোট ও এর আশেপাশের এলাকায় ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করে। সেইসঙ্গে পাঞ্জাব ও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হঠাৎ পাকিস্তান সফরের কয়েকদিনের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটলো। গত ২৫ ডিসেম্বর মোদি কয়েক ঘণ্টার জন্য পাকিস্তান সফরে যান। মোদির এ সফরের মাধ্যমে প্রায় এক যুগ পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পা পড়ে পাকিস্তানের মাটিতে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পাকিস্তানভিত্তিক জেইশ-ই-মোহম্মদ (জেইএম) সংগঠনের সদস্যরা এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। হামলাকারীদের সবাই পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরের বলেও জানানো হয়েছে খবরে।

** পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে ফের বিস্ফোরণ, আহত ৩

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।