ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মাসুদ আজহারকে আটকের তথ্য নেই পাকিস্তানের কাছে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
মাসুদ আজহারকে আটকের তথ্য নেই পাকিস্তানের কাছে!

ঢাকা: ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নয়াদিল্লির সন্দেহে থাকা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে আটকের কোনো তথ্য পাকিস্তানের কাছে নেই।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

‍তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাসুদ আজহারকে আটকের বিষয়ে অবগত নয় ইসলামাবাদ। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধানকে আটকের খবর দিয়েছিল।

এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে মাসুদ আজহারকে আটকের খবর উড়িয়ে দিয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ কাজী খলিলউল্লাহ বলেন, ‍মাসুদ আজহারকে আটকের বিষয়ে আমরা অবগত নই। তবে, ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চূড়ান্ত করতে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসলামাবাদের একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার (১১ জানুয়ারি) মাসুদ আজহারকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। তারপর তাকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ নেওয়া হয়।

মাসুদ আজহারকে আটক করার খবর জানানোর আগে বলা হয়, হামলার সন্দেহভাজন জইশ-ই-মোহাম্মদের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এদেরও ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ নেওয়া হয়।

কিন্তু বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে ওই তিনজনকেও আটকের বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। স্পষ্ট করা হয়নি জইশ-ই-মোহাম্মদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তা সিলগালা করে দেওয়ার খবরের বিষয়েও।

২ জানুয়ারি ভোরে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গিরা। এ ঘটনায় সাত ভারতীয় সেনা নিহত হন। ভারতের অভিযোগ, জইশ-ই-মোহাম্মদের কর্মীরাই এ হামলা চালিয়েছে। হামলার চার সন্দেহভাজন পৃষ্ঠপোষকের নামও পাকিস্তানকে জানায় নয়াদিল্লি।

এদিকে, এ হামলা তদন্তে ভারতকে সহযোগিতার জন্য একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিবেচনার কথা জানাচ্ছে পাকিস্তান। তারা বলছে, পাঠানকোট হামলা ভারতের সঙ্গে তাদের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপগুলো ব্যাহত করার অপচেষ্টা। ভারতও যেকোনো পদক্ষেপে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে আগ্রহের কথা জানাচ্ছে।

উল্লেখ করা যায়, ২০০১ সালে ভারতের সংসদে হামলায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে এই মাসুদ আজহারকে সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে ইসলামাবাদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয় নয়াদিল্লি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।