ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

আমেরিকার কয়েকটি দেশে গর্ভধারণ এড়িয়ে চলার আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
আমেরিকার কয়েকটি দেশে গর্ভধারণ এড়িয়ে চলার আহ্বান ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এতে কয়েকটি দেশে নারীদের প্রতি গর্ভধারণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে সরকারগুলো।



শনিবার (২৩ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ভাইরাসের আক্রমণে নবজাতকের মস্তিষ্কের আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হয়, যা পরবর্তি সময়ে তার শারীরিক অক্ষমতাসহ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

খবরে জানানো হয়, জিকা ভাইরাস সম্পর্কে আরও তথ্য উদঘাটনের আগ পর্যন্ত কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, এল সালভেদর ও জ্যামাইকায় নারীদের গর্ভধারণ এড়িয়ে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।

এ পর্যন্ত কলোম্বিয়ায় সাড়ে ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

ব্রাজিলে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারীর আকার ধারণ করেছে বলে জানানো হয়েছে খবরে। গত বছর অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় চার হাজার নবজাতক মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত হয়ে বা অস্বাভাবিক ছোট আকারের মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত ৪৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ শিশুর দেহে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।

এদিকে, মার্কিন স্বাস্থ্য অধিদফতর গর্ভবতী নারীদের আমেরিকা মহাদেশ ও এর বাইরের ২০টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। তালিকায় থাকা প্রতিটি দেশেই জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, ব্রাজিল, কলোম্বিয়া, এল সালভেদর, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, পানামা, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম ও ভেনেজুয়েলা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ক্যারিবীয় অঞ্চল, ওশেনিয়া ও আফ্রিকারও কয়েকটি দেশ রয়েছে এ তালিকায়।

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাইক্রোসেফালি ও জিকা ভাইরাসের মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে অস্বাভাবিক ছোট মস্তিষ্কের বেশ কয়েকটি শিশুর দেহে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিকা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় না। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে যে ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়, এক্ষেত্রেও একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। সেই সঙ্গে ত্বকে দাগ দেখা দেয়। ডেঙ্গুজ্বর ছড়ানো এডিস মশার মাধ্যমেই এর প্রাদুর্ভাব হয়। ১৯৪০ সালে আফ্রিকায় প্রথম এ ভাইরাস শনাক্ত হয়।

এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এর থেকে বাঁচার উপায় হলো এডিস মশার বংশবিস্তার বন্ধ করা ও মশার কামড় এড়িয়ে চলা। সাধারণত জমাট পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে এ প্রজাতির মশা। কাজেই কোথাও যেন পানি বেশিক্ষণ জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।