ঢাকা: প্রবল তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল। সপ্তাহব্যাপী চলা এই প্রবল তুষারঝড়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে।
তীব্রতার কারণে এই তুষারঝড়কে সাড়া জাগানো হলিউডি চলচ্চিত্র গডজিলার অনুকরণে ‘স্নোজিলা’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এই তুষারঝড়কে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের গত কয়েক দশকের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তীব্র তুষারপাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি রাজ্যের প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষ কার্যত ঘরে বন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া বিদ্যুৎহীন রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ নাগরিক।
রাজধানী ওয়াশিংটনে তুষারঝড়ের কারণে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ফেডারেল অফিস ও অন্যান্য সরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গেও বন্ধ রয়েছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
তুষারঝড়ে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওয়াশিংটন, ডেলাওয়ার, ওহাইও ও পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে একজন করে, কেনটাকি, মেরিল্যান্ড, নিউ জার্সি ও টেনেসিতে দুইজন করে, নিউইয়র্কে ৪জন, নর্থ ক্যারোলিনায় ৬ জন, সাউথ ক্যারোলিনায় ৩ জন এবং ভার্জিনিয়ায় ৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
রাস্তা, রেলওয়ে ট্র্যাক ও রানওয়েতে তুষারের বিপুল স্তূপ জমায় স্থবির হয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে ১২ হাজার ফ্লাইট।
গত কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার শেফার্ডস টাউনে। এখানে ১০৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে।
এছাড়া ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্লিনগারিতে ১০১ সেন্টিমিটার, ভার্জিনিয়ার ফিলমন্টে সেন্টিমিটার, মেরিল্যান্ডে ৯৬.৫২ সেন্টিমিটার ও নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে ৬৩.৭৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখনও ১১টি অঙ্গরাজ্যে (নিউইয়র্ক, টেনেসি, জর্জিয়া, কেনটাকি, নর্থ ক্যারোলিনা, নিউজার্সি, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, পেনসিলভানিয়া) জরুরি অবস্থা ঘোষণা অব্যাহত রেখেছে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
আরএইচএস/আরআই