ঢাকা: সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে খাবারের চরম সংকট চলছেই। দেশটির পার্বত্য শহর মাদায়ায় অনাহারে মারা গেছে আরও ১৬ জন।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম নতুন করে এ ১৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স জানায়, চলতি মাসের শুরুতে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে তাদের তিনটি বহর মাদায়ায় ঢোকার পরও সেখানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেবল তাই নয়, আরও শতো শতো মানুষ মাদায়ায় প্রাণহানির ঝুঁকিতে রয়েছে।
সংস্থাটির পরিসংখ্যান মতে, ২০ হাজার জনসংখ্যার শহর মাদায়ায় ৩২০ জন অপুষ্টিজনিত রোগী রয়েছে। এরমধ্যে ৩৩ জনই বিপজ্জনক পর্যায়ে, অর্থাৎ এদের অনেকে মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।
ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্সের অপারেশন পরিচালক দে ল ভিনজেনে বলেন, মাদায়ায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী ও স্বাধীন একটি মেডিকেল বোর্ড দরকার। স্বাস্থ্যসেবা এখনও সেখানে সীমিত থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়াতে পারে।
এদিকে, মাদায়ার পাশাপাশি এখন সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকেও অপুষ্টিজনিত সংকটের কথা জানাচ্ছেন ডক্টর উইদাউট বর্ডার্সের স্বেচ্ছাসেবীরা। এরমধ্যে রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর মোয়াদামিয়ায় পরিস্থিতি বিপদের দিকে গড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার মাদায়ায় এমন মানবিক সংকটের কথা গণমাধ্যমে আসে চলতি মাসের শুরুর দিকে। সেসময় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত বছরের জুলাইয়ে অবরোধ আরোপের পর থেকে শহরটিতে খাদ্যের পাশাপাশি জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহও কমে গেছে। সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রসের দামেস্কের নিযুক্ত মুখপাত্র পাওয়েল জানান, লোকজন বেঁচে থাকার জন্য ঘাস খাওয়া শুরু করেছে। এটা মানবিকতার বিপর্যয়।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের পর সিরিয়ার সরকারি বাহিনী মাদায়ায় ত্রাণ দিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে অনুমতি দেয়। কিন্তু এরপর আবারও কড়াকড়ি আরোপ করে। এরমধ্যেই ডক্টর উইদাউট বর্ডার্স এ খবর দিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
এইচএ