অবশেষে জামিনে মুক্তি মিললো ছাগলটির। সাহস কম নয় সব্জিক্ষেত আর ফুল বাগানে গিয়ে মুখ বসিয়েছে।
আর যায় কোথা! পুলিশ গিয়ে ধরে আনলো ছাগলটিরে। সঙ্গে পাকড়াও মালিকও। এক রাত কয়েদ খাটলো ছাগল আর মালিক। পরের দিন তোলা হলো আদালতের কাঠগড়ায়।
সাত বছরের পাক্কা জেল হতে পারতো এই অপরাধে। তবে শেষ পর্যন্ত দয়া দেখালেন বিচারক। জামিন মঞ্জুর করলেন বটে। তবে বেশ শাসিয়ে দিয়েছেন, ফের যদি হয় এমন অপরাধ, তবে জেলের ভাত মালিকের আর ভাতের মাড় ছাগলের কপালে জুটবে তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় অবশ্য এতটা ক্ষেপতেন না। ব্যাটা ছাগল বার বার তার বাঁধাকপির ক্ষেত আর তারাফুলের বাগানে ঢুকে পড়ে মুখ বসায়। খায় যৎসামান্য কিন্তু ক্ষতি করে কম নয়। এতো ফৌজদারি অপরাধ বৈ কিছু নয়। প্রমাণ করলে টানা সাত বছরের জেল।
দণ্ডবিধির ৪২৭ আর ৪৪৭ ধারার এই অপরাধ অবশ্য জামিনযোগ্য। আর সে কারণে জামিন না দিয়ে উপায় ছিলো না জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের। সে কথা বললেন পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন।
ঘটনা ভারতের ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার জনকপুরের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো লুফে এই খবর। তা থেকেই জানায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাগানের মালি রাজেশ পাইকরা হাতে নাতে ধরে ফেলে ছাগলটি থানায় দেন। আর মালিক ও ছাগলের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন ম্যাজিস্ট্রেট স্বয়ং। পুলিশ গিয়ে মালিক আবুল হাসানকে ধরে আনে।
পরে আর হবে না মর্মে মুচলেকা দেন আবুল হাসান। আর মিডিয়ার সামনেও স্বীকার করে নেন, দোষ তার ছাগলেরই। ওটাই বাগানের বেড়া ডিঙ্গিয়ে গিয়ে সব্জি আর ফুলে মুখ বসিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এমএমকে