ঢাকা: সিরিয়ার পাঁচ বছরব্যাপী রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ থামাতে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মধ্যস্থতায় সরকার ও বিরোধীপক্ষের অংশগ্রহণে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আলোচনা শুরুর কয়েক দিনের মাথায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। তবে, ‘আপাতত’ স্থগিত হলেও আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এ আলোচনা ফের শুরু হতে পারে বলে জানানো হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো শহরের প্রধান সরবরাহ রুট বন্ধ করে সরকারি বাহিনী তাদের পর্যদুস্ত করার ঘোষণা দেওয়ার পর আলোচনায় এ বাধা এলো।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেবল আলেপ্পোয় বিদ্রোহীদের কোণঠাসাই করা হয়নি, সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের বলয় গুড়িয়ে দিয়ে নুবুল ও জাহরা শহরও পুনরুদ্ধার করেছে।
সংলাপ স্থগিত হওয়ার বিষয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে বিরোধীরা চায়, বিমান হামলা বন্ধ হোক। কিন্তু এরমধ্যেই সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে।
বিরোধী প্রতিনিধিদের প্রধান রিয়াদ হিজাব জানিয়ে দেন, মাঠের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তারা সহসা ফিরবেন না (আলোচনায়)। তিনি বলেন, পুরো বিশ্ব দেখছে কারা সমঝোতা সংলাপকে ভেস্তে দিতে কাজ করছে। কারা বোমা ফেলে মানুষ হত্যা করছে।
আর সরকারপক্ষের প্রতিনিধিদের প্রধান বাশার জাফারির অভিযোগ, বিরোধীরা সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কের পরামর্শে এ আলোচনা স্থগিত করার জন্য কাজ করেছে, তারাই দায়ী।
সংলাপ স্থগিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করলেও জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্ট্যাফান দে মিস্তুরা বলেন, আলোচনা একেবারে ভণ্ডুল হয়ে যায়নি। আমরা আশা করছি ২৫ ফেব্রুয়ারিই আলোচনা আবার শুরু হবে।
তবে, এ সংলাপ সফল হতে আরও অনেক কাজ করতে হবে বলেও স্বীকার করেন দে মিস্তুরা। তিনি বলেন, তারা (সরকার ও বিরোধীপক্ষ) এসেছে এবং এখানে (আলোচনায়) থেকেছে। উভয়পক্ষই একটা বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে যে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যেন শুরু হয় সে বিষয়েই তারা আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এইচএ/