ঢাকা: গ্রেফতার এড়াতে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে অবস্থান করতে বাধ্য করে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আসলে ‘নির্বিচারে’ আটক করে রাখা হয়েছে বলে রায় দিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ভার্সেস ইউনাইটেড কিংডম অ্যান্ড সুইডেন’ মামলায় এ রায় জানিয়েছে জাতিসংঘের ‘ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আর্বিট্রেরি ডিটেনশন (ডব্লিউজিএডি)’।
দু’জন নারীর করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নারী নির্যাতনের মামলায় সুইডেনের আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। দূতাবাস থেকে বের হলেই তাকে গ্রেফতার করতে প্রস্তুতও রয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ। ফলে তিনি এক প্রকার আটক জীবনযাপন করেছেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলেছিলেন, সুইডেন তাকে আটক করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। আর যুক্তরাষ্ট্র তাকে পেলে সরকারের গোপন তথ্য ফাঁসের দায়ে মৃত্যুদণ্ডও দিয়ে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) অ্যাসাঞ্জ ঘোষণা দিয়েছিলেন, জাতিসংঘের রায়ে তিনি যদি অভিযুক্ত হন, তাহলে শুক্রবার দুপুরেই তিনি ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বেরিয়ে এসে ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ধরা দেবেন। আর যদি রায় তার পক্ষে যায়, তাহলে নিজের পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে তাকে একা ছেড়ে দিতে বলবেন।
জাতিসংঘের রায় অ্যাসাঞ্জের পক্ষে গেলেও তার চাওয়া আদৌ বাস্তব রূপ নেবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে, মন্তব্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর। কারণ ডব্লিউজিএডি’র এ রায়কে মূলত একটি ‘নৈতিক সুপারিশ’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এ সুপারিশ উপেক্ষায় আইনি কোনো বাধা নেই।
কাজেই ডব্লিউজিএডি’র রায়কে চূড়ান্ত মনে করে অ্যাসাঞ্জ সত্যিই যদি ইকুয়েডরের দূতাবাস ছেড়ে সড়কে বেরিয়ে আসেন এবং গ্রেফতার হন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
** শুক্রবার ধরা দেবেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ!
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরএইচ