ঢাকা: পরিবেশ দূষণরোধে বহুদিন ধরেই পরিবেশবিদরা সোচ্চার। কিন্তু শিল্পায়নের এ যুগ তাদের সব যুক্তিকে অকাট্য মনে করলেও মানতে যেন নারাজ।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, শিল্পকারখানা, যানবাহন, কয়লা ও কাঠের দহন থেকে উৎপাদিত কার্বন ডাই-অক্সাইড ও সিসাসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র কণিকা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ প্রজেক্ট’-এর অংশ হিসেবে নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে এ গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। এতে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর হার সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে চীন ও ভারতে।
বোস্টনের হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের ড্যান গ্রিনবম বলেছেন, বেইজিং বা দিল্লিতে বায়ুদূষণের অবস্থা এমন একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, যেদিন এসব নগরীর বাতাসে দূষণের মাত্রা অন্যান্য সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি থাকে, সেদিন বাতাসের প্রতি এক ঘনমিটারে সূক্ষ্ম কণার পরিমাণ থাকে ৩০০ মাইক্রোগ্রামেরও বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বাতাসে কোনোমতেই ক্ষুদ্র কণার (পিএম২.৫) পরিমাণ ২৫ থেকে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের ক্ষুদ্র কণিকাকে ‘পিএম২.৫’ বলা হয়ে থাকে।
নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুধুমাত্র চীনেই বায়ুদূষণের কারণে বছরে মারা পড়েন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। আর ভারতে এ সংখ্যা ১৩ লাখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
আরএইচ