ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী অস্টিনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে এখন থেকে বন্দুক নিয়ে ক্লাসরুমে প্রবেশ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
অঙ্গরাজ্যের নতুন আইন অনুযায়ী বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ফেনভেস এ অনুমোদন দেন।
৫০ হাজার শিক্ষার্থীর এ ক্যাম্পাসে আরও অনেকেই আছেন, যারা প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত। এই বিপুল সংখ্যার মানুষের মধ্যে বন্দুক সঙ্গে রাখার ব্যাপারটিতে প্রথমে গ্রেগ ফেনভেস অনুমতি দিতে চাননি।
টেক্সাসের পূর্ববর্তী আগ্নেয়াস্ত্র আইনের আওতায় এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস আগ্নেয়াস্ত্রমুক্ত ছিল। কিন্তু রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনসভা গত বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার অনুমোদন সংক্রান্ত একটি আইন পাস করে।
নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনটির অনুমোদন দেওয়ার পর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ফেনভেস বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। কাজেই যে সিদ্ধান্ত আমি নিলাম, তা আসলে আমার প্রেসিডেন্সিকেই চ্যালেঞ্জ করলো।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষার্থী ও কর্মরতদের মতামত হলো, এ অনুমোদনের ফলে ক্যাম্পাসে অযাচিত হুমকির সৃষ্টি হবে। সবারই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এমনকি মত প্রকাশের স্বাধীনতাও খর্বিত হতে পারে। তুচ্ছ কারণে গুলির ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
আরও এক কাঠি বেড়ে নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী স্টিভেন ওয়েনবার্গ বলেছেন, বন্দুক সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা যেন তার ক্লাসে প্রবেশ করতে না পারেন, সে অনুযায়ী তিনি পাঠ্যক্রম তৈরি করবেন।
এদিকে, টেক্সাসের আইনপ্রণেতারা আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ব্যাপারে যে আইনটি পাস করেছেন, তা অপর একটি আইনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
নতুন আইন অনুযায়ী, ২১ বছর বয়সী যে কেউ বন্দুকের লাইসেন্স করতে পারবেন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে বন্দুক নিয়ে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু অপর একটি আইনে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
আরএইচ