ঢাকা: সিরিয়ায় হাসপাতাল ও স্কুলে হামলার ঘটনাগুলো ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে ফ্রান্স ও তুরস্ক। এসব হামলা চালিয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বা তার মিত্র রাশিয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে এবং সিরিয়া সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোকে ব্যর্থ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য দেশ দু’টির।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আলেপ্পো ও ইদলিবে পাঁচটি হাসপাতাল ও দু’টি স্কুলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্লেন থেকে এসব স্থানে বোমা ফেলা হয়েছে। আবার কয়েকটির দাবি, মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে হাসপাতাল ও স্কুলগুলোয়।
এসব হামলায় নারী ও শিশুসহ অর্ধ শতাধিক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-মার্ক আয়রল্ট বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোয় আসাদ সরকার বা তার মিত্রের এ হামলার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য এবং এই মুহূর্তে এ পরিস্থিতির অবসান ঘটা উচিত।
আলাদা এক বিবৃতিতে তুরস্ক বলেছে, এসব হামলা চালিয়ে রাশিয়া ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছে। এই মুহূর্তে সিরিয়ায় রুশ আগ্রাসন বন্ধ না হলে মস্কোকে ভুগতে হবে।
তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরোনিকা স্কভর্তসোভা বলেছেন, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থাপনা ছাড়া সিরিয়ায় আর কোথাও তার দেশ অভিযান পরিচালনা করেনি। রুশবাহিনীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তার দেশের নীতির বিরোধী।
মস্কোয় সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত রিয়াদ হাদ্দাদ বলেছেন, হাসপাতালগুলোয় আসাদ সরকার বা রাশিয়ার কোনো প্লেন থেকে বোমা ফেলা হয়নি বা মিসাইল আঘাত হানেনি। এ হামলা আসলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাই চালিয়েছে। মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলোই এসব স্থানে বোমাবর্ষণ করেছে।
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, সিরিয়ায় এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘণ। পাঁচ বছর ধরে সিরিয়ায় যে সংকট বিরাজমান, তার অবসানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাগুলোকে ব্যর্থ করে দিয়েছে এসব হামলা।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিব তার মন্তব্যে এসব হামলায় কাউকে দায়ী করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
আরএইচ
** যুদ্ধবিরতি মানে অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ নয়: আসাদ
** সিরিয়ায় বিমান হামলায় নিহত ৫০
** সিরিয়ায় মিসাইল হামলায় নিহত ২৩