ঢাকা: সংস্কার, অভিবাসী সংকটসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে দু’দিনের এ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সংস্কার প্রস্তাবই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৫টা থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিকাল ৪টার মধ্যে ব্রাসেলসে পৌঁছাবেন ইইউ-এর ২৮ দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বহুদিন ধরেই ব্রিটিশ কর্মকর্তারা ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছেন। এ বিষয়ে ডেভিড ক্যামেরন নিজে ২০টি দেশে সফর করেছেন।
এদিকে, ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, দু’দিনের এ সম্মেলনে নেতাদের সামনে এ ব্যাপারে আলোচনা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। প্রথমদিকে সংস্কার প্রস্তাবটি ‘নগণ্য’ মন্তব্য করে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবটি পাস হবে কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে আলোচনার এজেন্ডায়। তবে প্রস্তাবটি যদি পাস হয়েই যায়, তাহলে ইইউ ও যুক্তরাজ্য- উভয়ই পরাজিত হবে। আর বিভক্তি সৃষ্টি করতে চাইছে যারা, তারা জয়ী হবেন।
তবে এবারের সম্মেলনে ডেভিড ক্যামেরনের প্রস্তাবটি পাস না হলেও খুব একটা কিছু যায় আসবে না বলে মন্তব্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর। কারণ এরপরও তিনি এ ব্যাপারে ইইউ সম্মেলনে আলোচনার সুযোগ পাবেন। ফেব্রুয়ারির সম্মেলনে ব্যর্থ হলে আগামী ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য অপর সম্মেলনে তিনি প্রস্তাবটি তুলতে পারবেন। সেসময় ব্যর্থ হলে ২৩ জুনের সম্মেলনেও এ নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। মোট কথা, ২০১৭ সাল জুড়েই তার সামনে প্রস্তাবটি পাস করিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
আরএইচ