ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

স্নিকারস চকলেটে প্লাস্টিক, তুলে নেওয়া হচ্ছে ৫৫ দেশ থেকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
স্নিকারস চকলেটে প্লাস্টিক, তুলে নেওয়া হচ্ছে ৫৫ দেশ থেকে ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চকলেটের কথা উঠলেই বর্তমানে সবার আগে যে নামগুলো উচ্চারিত হয়, সেগুলোর অন্যতম স্নিকারস। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি ভিত্তিক চকলেট প্রস্তুতকারী ও বিপণন প্রতিষ্ঠান মার্স বাজারজাত করে থাকে এ চকলেট।



কিন্তু জনপ্রিয় ও জিভে জল আনা এ চকলেটেই এবার পাওয়া গেল প্লাস্টিক। এর জেরে বিশ্বের ৫৫টি দেশ থেকে মার্স তার পণ্য ফেরত নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যে মার্সের চকলেট পণ্য ফানসাইজ মার্স, মিল্কিওয়ে বারস ও বক্সেস অব সেলেব্রেশনে প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। আর নেদারল্যান্ডে স্নিকারস বারেও পাওয়া গেছে এ ভেজাল।

তবে প্রথম অভিযোগটা আসে জার্মানি থেকেই। গত জানুয়ারি মাসে দেশটিতে এক ব্যক্তি স্নিকারস বারে প্লাস্টিকের টুকরো পেয়ে অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে নামে মার্স। জানা যায়, নেদারল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ভেগেলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কারখানা থেকেই প্লাস্টিকের টুকরোগুলো চকলেটে ঢুকে পড়েছে।

মার্স নেদারল্যান্ড-এর একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, প্লাস্টিকের টুকরোগুলো শুধুই স্নিকারস বা আমাদের গুটিকয়েক পণ্যে ঢুকে পড়েছে কি না। আমরা চাই না, বাজারে আমাদের এমন কোনো পণ্য থাকুক, যা মার্সের গুণগত দিককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তাই প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।

তবে বাজার থেকে সে পণ্যগুলোই মার্স ফেরত নেবে, যেগুলো নেদারল্যান্ডের ওই কারখানায় প্রস্তুত হয়েছে। এ কারখানা থেকে প্রস্তুত চকলেটগুলো মূলত ইউরোপের বাজারেই পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

তবে কত সংখ্যক চকলেট বাজার থেকে ফেরত নেওয়া হবে, বা এগুলোর মোট বাজারমূল্য কত হতে পারে, সে ব্যাপারে মার্স কিছু জানায়নি।

উল্লেখ্য, চকলেট শিল্পে মার্স যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বব্যাপী আয় ছিল ৩৩ বিলিয়ন ডলার (৭৮.৪৮ টাকায় ডলার হিসাবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৭ কোটি ৩ লাখ টাকা)।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।