ঢাকা: বলকান রাষ্ট্রগুলোর রুট ধরে গ্রিস হতে পশ্চিম ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত ঠেকাতে সীমান্তে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্লোভেনিয়া। এ কড়াকড়ির আওতায় শুধুমাত্র যারা স্লোভেনিয়ায় আশ্রয়প্রার্থী কিংবা সত্যিকার অর্থেই মানবিক সহায়তার দাবিদার, তাদেরকেই প্রবেশ করতে দেবে দেশটি।
শুরু থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্র স্লোভেনিয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে জার্মানি ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় ইউরোপীয় দেশগুলোয় পৌঁছার ক্ষেত্রে রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিরো সেরার বলেছেন, এবার আর তার দেশ রুট হিসেবে ব্যবহার হবে না। কারণ বলকান দেশগুলোর রুট ধরে সীমান্তের যে দিকটা দিয়ে স্লোভেনিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশীরা প্রবেশ করতেন, সে দিকে কড়াকড়ি আরোপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, স্লোভেনিয়ার দেখাদেখি সার্বিয়াও একই পথে হাঁটবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। মেসিডোনিয়া ও বুলগেরিয়ার সঙ্গে দেশটির সীমান্ত বন্ধের কথা চিন্তা করছে এর সরকার। এক্ষেত্রে যাদের কাগজপত্র ঠিক রয়েছে, শুধু তাদেরকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইইউ ব্লকে বেশ আগে থেকেই ভিসামুক্ত ‘শেনজেন অঞ্চল’ হুমকির মুখে পড়েছে। স্লোভেনিয়া ও সার্বিয়ার এমন কড়াকড়ি আরোপ সে হুমকি আরো বাড়িয়ে দিল।
এরই মধ্যে অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়াসহ ইইউ-এর আট সদস্য রাষ্ট্র নিজেদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থী সহস্রাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী এখন গ্রিসে ঝুলন্ত অবস্থায় দিন পার করছেন।
বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপ এত বড় অভিবাসী সংকটে পড়েছে। গত বছর শুধুমাত্র নৌপথে দশ লাখের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী এ মহাদেশে প্রবেশ করেছেন। এদের বেশিরভাগই সিরীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
আরএইচ