ঢাকা: ফ্রান্সের ক্যালেতে ইংলিশ চ্যানেলের তীরে স্থাপিত শরণার্থীদের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিলো সে দেশের পুলিশ।
সোমবার রাত থেকে ‘জঙ্গল’ বলে অভিহিত শরণার্থীদের এই আশ্রয় কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শরণার্থীদের সঙ্গে পুলিশের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শরণার্থীরা নিজেদের তাঁবুতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ক্যালের এই শরণার্থী শিবির উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সে দেশের আদালতে আবেদন করেছিলো মানবাধিকার সংগঠন ‘মাইগ্রেন্ট হোস্টেল’। কিন্তু আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দিলে সোমবার উচ্ছেদ অভিযানে নামে কর্তৃপক্ষ।
তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাউকে এই ক্যাম্প থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হবে না। তারা আরও জানায় এই উচ্ছেদ অভিযানে ক্যাম্পে থাকা ৩ হাজার সাতশ’ আশ্রয় প্রার্থীর মধ্যে আটশ থেকে ১ হাজার লোককে সরিয়ে নেয়া হবে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, শরণার্থীদের ক্যাম্পের যে অংশ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে শুধু সেখানেই ৩ হাজার ৪৫০ জন মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যে রয়েছে ৩শ’ জন অভিভাবক ও সঙ্গীহীন শিশু।
অবশ্য ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের নিকটবর্তী অপর একটি ক্যাম্পে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। জাহাজের পরিত্যক্ত কনটেইনার দিয়ে ওই আশ্রয় শিবিরটি নির্মাণ করে তারা। কিন্তু চলাফেরায় বিধিনিষেধ এবং ক্যাম্পটির ভেতরে যথেষ্ট জায়গা না থাকার কারণে সেখানে যেতে অনিচ্ছুক অধিকাংশ আশ্রয় প্রার্থী।
মূলত নিকটবর্তী ইউরো টানেল ধরে ব্রিটেনে যাওয়ার উদ্দেশে ক্যালের ওই ক্যাম্পে আস্তানা গেড়েছেন শরণার্থীরা, যাদের অধিকাংশই সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের বাসিন্দা। তবে শরণার্থীদের ইউরো টানেল ধরে বৃটেনে প্রবেশের উপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৬
আরআই