ঢাকা: দিন যত যাচ্ছে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলে প্রার্থিতার দৌড়ে অবস্থান আরও শক্ত হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। পথ এখনও অনেকটা বাকি থাকলেও মার্কিন মুলুকে এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, নির্বাচনে মূল দ্বৈরথটা হবে ট্রাম্প এবং হিলারির মধ্যেই।
এ পর্যন্ত ১৫টি অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত রিপাবলিকানদের প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ১০টিতেই জয় পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্রেট দলেও ১০ অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি।
হিলারির জয়জয়কারে তার দলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও ট্রাম্পের জয়ে কিন্তু কিছুতেই খুশি হতে পারছেন না রিপাবলিকান সিনিয়র নেতারা। বর্ষিয়ান নেতা মিট রমনি তো সরাসরি কামানই দাগিয়ে বসেছেন। তার ভাষ্য, ট্রাম্প একজন নকল ও প্রতারক নেতা।
রিপাবলিকানদের বক্তব্য অনুযায়ী ট্রাম্পকে খুব সহজে সংজ্ঞায়িত করা যায় এভাবে- তিনি আত্মবিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে প্রলুব্ধ করেন। ভালোবেসে মানুষ তার পেছনে সময় আর অর্থ লগ্নি করে। কিন্তু তিনি নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই ভালোবাসেন না। কাজেই যারা তাকে বিশ্বাস করেন, তাদের সঙ্গেই তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেন।
উদাহরণস্বরূপ ট্রাম্প ইউনিভার্সিটিকেই সবার আগে সামনে আনা হচ্ছে। রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে মানুষ যেন প্রয়োজনীয় সব জ্ঞানই আহরণ করতে পারে, সে উদ্দেশ্যের কথা বলে শিক্ষাঙ্গনটি গড়ে তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ২০১৩ সালে নিউইয়র্কের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্নেইডারম্যান তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ করেন এই বলে যে, শিক্ষার সম্প্রসারণের কথা বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। ট্রাম্প ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসে পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ ৪০ মিলিয়ন ডলার (৭৮ টাকায় ডলার হিসাবে ৩১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা) ঢেলেছে, যার এক চতুর্থাংশ গেছে সরাসরি ট্রাম্পের পকেটে।
অভিযোগে আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির অভ্যন্তরীণ দলিলপত্র বলছে, প্রচারের সময় জ্ঞান বিতরনের কথা বলা হলেও এটি আসলে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কিছুই না। এখানে ‘গ্রাহক’দের আরও আরও কোর্স কিনতে প্রলুব্ধ করা হয়। ২০১০ সালে ‘দ্য বেটার ব্যুরো’ ডি-রেটিং দেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে।
ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির সাবেক একজন শিক্ষার্থী প্যাট্রিশিয়া মারফি ২০১১ সালে দ্য টাইমস-কে অভিযোগ করে বলেছিলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা আপনাকে প্রলুব্ধ করবে। আমি ট্রাম্প ইউনিভার্সিটিতে ১২ হাজার ডলার ঢেলেছি, যার সিংহভাগই আমার ক্রেডিট কার্ড থেকে পরিশোধ করতে হয়েছে। আর এ জন্য আমাদেরকে ক্রেডিট কার্ডের লিমিট বাড়াতে উৎসাহ দেওয়া হতো।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
আরএইচ