ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিধানসভার ভোট

৪৫ নারীকে প্রার্থী করলো তৃণমূল, সংখ্যালঘু ৫৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৬
৪৫ নারীকে প্রার্থী করলো তৃণমূল, সংখ্যালঘু ৫৭ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর তালিকায় খুব একটা পরিবর্তন না আনলেও জয়ের ভিত্তি আরও শক্ত করতে নারী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫৭ জন সংখ্যালঘু প্রার্থীকেও মনোনয়ন দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।



ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় এর বেশি কোনো চমক খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। শুক্রবার (০৪ মার্চ) ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ঘোষণার পরপরই পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ আসনের প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।

এবারের প্রার্থী নির্বাচনে যে খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি, তা নিজেই স্বীকার করেছেন মমতা। বলেছেন, কয়েকটি আসনে প্রার্থী বদল করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু করার ছিল না। আরও কিছু বদল করতে পারলে খুশি হতাম। কিন্তু ভোটে সবসময় ইচ্ছে থাকলেও সেটা করা যায় না। ’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ঝুঁকি নিতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। যে রদবদল এসেছে, তা শুধুমাত্র নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে।

এদিকে, আগামী ৪ এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। ৫ মে পর্যন্ত ছয় দফায় সাতদিনে সম্পন্ন হবে এ ভোটগ্রহণ। তবে এরই মধ্যে রাজ্যে টহল দিতে শুরু করেছে কেন্দ্র বাহিনী।

সম্প্রতি কলকাতাসহ একাধিক পুরসভা নির্বাচনে রাজ্য পুলিশকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শাসক দলের দাপিয়ে বেড়ানোর যে চিত্র দেখা গেছে, বিধানসভার নির্বাচনে তার যেন পুনরাবৃত্তি ঘটে, সে জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।

কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছাড়াও এবার প্রতিটা জেলায় পাঁচজন করে পর্যবেক্ষকও রাখবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পদক্ষেপকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। তবে কারো কারো কপালে ভাঁজও পড়েছে বলে মন্তব্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এ ব্যাপারে বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তো তিন দিনের জন্য! ভোটটা হয়ে গেলে চলে যাবে। তার পরে তো আমাদেরই দেখতে হবে!

সাধারণ জনতার উদ্দেশ্যে তার এ মন্তব্যকে একপ্রকার প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।

আর নজিরবিহীনভাবে ছয় দফায় সাত দিনে ভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, কমিশন যা করছে, কিছু বলতে চাই না। স্বাগত জানাচ্ছি। ২৯৪টা কেন্দ্রে ২৯৪ দিনে ভোট হলেই সব চেয়ে ভাল হতো!

নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, ছয় দফার এ নির্বাচনের প্রথম দফার প্রথমদিন, ৪ এপ্রিল ভোট হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬, পুরুলিয়ার ৯ ও বাঁকুড়ার ৩ আসনে। আর ১১ এপ্রিল প্রথম দফার দ্বিতীয় দিনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৩, বাঁকুড়ার ৯ ও বর্ধমানের ৯ আসনে।

১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। এ দিন দার্জিলিংয়ের ৬, জলপাইগুড়ির ৭, মালদহের ১২, উত্তর দিনাজপুরের ৯, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬, আলিপুরদুয়ারের ৫ ও বীরভূমের ১১ আসনে ভোট হবে।

তৃতীয় দফায় ২১ এপ্রিল বর্ধমানের ১৬, মুর্শিদাবাদের ২২, নদিয়ার ১৭ ও কলকাতার ৭ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ এপ্রিল চতুর্থ দফায় উত্তর চব্বিশ পরগণায় ৩৩ ও হাওড়ায় ১৬ আসনে ভোট হবে।

পঞ্চম দফায় ৩০ এপ্রিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ৩১, কলকাতা ৪ ও হুগলির ১৮ আসনে ভোট হবে। ষষ্ঠ দফায় কোচবিহারের ৯ ও পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ আসনে ভোট হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।