ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কড়াকড়ির পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর আগের লোকসভা বা পঞ্চায়েত ভোটের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে এবার তারা কেন্দ্র নিয়োজিত পর্যবেক্ষকদের ওপরও নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দু’বছর আগের লোকসভা ভোটে শাসক দল ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে বলে বিরোধীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে এসেছিলেন বিশেষ কেন্দ্র পর্যবেক্ষক। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোট বেশ নির্বিঘ্নে কাটলেও তৃতীয় দফা থেকেই জল ঘোলা হতে শুরু করে।
বিরোধীদের অভিযোগ, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম দফার ভোটে পর্যবেক্ষকের অলস সময় কেটেছে কলকাতার বেদী ভবনেই। দেখেও যেন কিছু দেখেননি তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীও এ সময় প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকে।
এবার আর নির্বাচন কমিশন চাইছে না, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটুক। আর তাই পর্যবেক্ষকের ওপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পুলিশের কাজকর্ম, খরচের হিসাব, বুথ পরিচালনা ও ভোটার সচেতনতার কাজ যাচাই করতে প্রতি জেলায় চারজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবে নির্বাচন কমিশন। আর এদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করবেন একজন সাধারণ পর্যবেক্ষক। এছাড়া প্রতি কেন্দ্রে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ও জিপিআরএস (জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস)-সহ তিনটি ভ্রাম্যমাণ স্কোয়াডও রাখা হচ্ছে। কোথাও কোথাও অডিও-ভিজ্যুয়াল ফোটোগ্রাফির ব্যবস্থাও থাকছে। আর এভাবেই দিল্লির নির্বাচন কমিশন দপ্তরে বসেই ভ্রাম্যমাণ স্কোয়াডকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এছাড়া ভোট শুরুর আগে ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত কি না, ভিডিও ক্যামেরায় ছবি তুলে তা দিল্লিতে জানানোরও কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভিডিও করা সম্ভব না হলে প্রিজাইডিং অফিসার বা মাইক্রো-অবজার্ভার মোবাইলেই ছবি তুলে পাঠাতে হবে।
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে এরই মধ্যে দুইশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জিপিএস মারফত তাদের উপর নজরদারিও করছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জেলা প্রশাসন ঠিকঠাক কাজে লাগাচ্ছে কি না, স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় নিয়মিত টহল চলছে কি না, তাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিদিনই জেলাশাসকদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
আরএইচ