ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘শরণার্থীদের পিঠ দেখালো ইইউ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
‘শরণার্থীদের পিঠ দেখালো ইইউ’ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আসলে শরণার্থীদের পিঠ দেখালো বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) ব্রাসেলসে ইইউয়ের সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে এ জোটের নেতারা তুরস্কের সঙ্গে চুক্তিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।



এ চুক্তির আওতায় রোববার (২০ মার্চ) থেকে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে প্রবেশ করা যেসব শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীর আবেদন নাকচ হবে, তাদের আবার তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে। এর বিনিময়ে ২৮ জাতির এ জোটের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা ও রাজনৈতিক সুবিধা পাবে দেশটি।

ইইউ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তুরস্কে বর্তমানে প্রায় ৭২ হাজার সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছেন। চুক্তির আওতায় তাদেরকে ইউরোপে পুনর্বাসন করা হবে। তবে তুরস্কে ফেরত পাঠানো শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা যদি সেখানে অবস্থানরত সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়, তাহলে প্রক্রিয়াটি বাতিল হয়ে যাবে।

চুক্তি চূড়ান্তের ঘোষণা আসার পরপরই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইইউ জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে ‘দ্বিমুখী নীতি’ অবলম্বনের অভিযোগ করে।

ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় অ্যামনেস্টির পরিচালক জন ডালহুসেইন বলেছেন, এ চুক্তির ফলে একদিকে শরণার্থীদের পিঠ দেখানো হলো, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ও ইউরোপীয় আইনের লঙ্ঘন করা হলো। ইউরোপে শরণার্থী আশ্রয় ও সুরক্ষা নীতিকে সংকুচিত করার নামে আসলে মানবতাকে ‘চিনির প্রলেপযুক্ত সায়ানাইড পিল’ খাওয়ানো হলো।

তিনি আরো বলেন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত আসলে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নিশ্চয়তার অবমাননা। শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য তুরস্ক মোটেও নিরাপদ দেশ নয়।

এদিকে, তুরস্কের সঙ্গে এ চুক্তিটিকে ইউরোপীয় নেতাদের সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু ১৮ মার্চকে একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

তবে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল স্বাগত জানালেও সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, এ চুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি প্রক্রিয়ার সূচনা ঘটতে পারে।

জাতিসংঘ বলেছে, চুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে হলে গ্রিসের শক্তি আরো বৃদ্ধি করতে হবে, যা বেশ কঠিন হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাগরপাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। চলতি বছরই প্রবেশ করেছেন ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি শরণার্থী। গ্রিস থেকে উত্তর দিক দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের রুটটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ আশ্রয়প্রার্থীদের কয়েক লাখ এখন দেশটিতে আটকা পড়ে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।