ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মায়ানমারে চার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
মায়ানমারে চার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন সু চি

ঢাকা: মায়ানমারের ইউনিয়ন পার্লামন্টে ১৮ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভার প্রস্তাব করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হতিন কিয়াও। এ তালিকায় গত নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পাওয়া ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি’র নামও রয়েছে।

তিনি চারটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) হতিন কিয়াও এ নাম প্রস্তাব করেন। ইউনিয়ন পার্লামেন্ট স্পিকার বুধবার (২৩ মার্চ) সংসদ সদস্যদের কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। এরপরই মন্ত্রিসভার প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। আর কেবিনেটে নবগঠিত এ মন্ত্রিসভার সদস্যদের কার অবস্থান কি হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত হবে।

আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে, মায়ানমারের পররাষ্ট্র, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, শিক্ষা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন অং সান সু চি।

নিয়মানুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে হলে সু চিকে দলীয় ও সংসদীয় পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। কাজেই এনএলডি নেত্রী শেষ পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এদিকে, সু চি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন বলে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল মায়ানমারের রাজনৈতিক অঙ্গেনে। তবে এ গুঞ্জনের বিপক্ষেও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

মায়ানমারের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তোয়ে কিয়াও হলাইন এ ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না, সু চি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন। এ পদের দায়িত্ব নিলে তাকে অধিকাংশ সময় নানা সফরে দেশের বাইরে থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাকা করতে তাকে ব্যস্ত থাকতে হবে বেশি। এ কাজ করতে গেলে সরকার নিয়ন্ত্রণ করা তার পক্ষে বেশ কঠিনই হয়ে পড়বে। ’

জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সু চি মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। দেশটির ২০০৮ সালের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি কাউকে বিয়ে করলে বা সন্তানরা বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে সেই ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। সুচির দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে তিনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় পড়ে গেছেন।

তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেই সুচি ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলে, তার চেয়েও বড় কিছু হয়ে তিনি দেশ পরিচালনা করবেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালনের চেয়ে সু চি’র কাছে সবসময় বেশি প্রাধান্য পাবে দল ও দেশ নিয়ন্ত্রণ করা। কাজেই তিনি এমন কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন না, যা তার প্রধান উদ্দেশ্যকে ব্যহত করতে পারে।

এর আগে, গত ১৫ মার্চ মায়ানমারের সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এতে সু চি’র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হতিন কিয়াও জয় পান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।