ঢাকা: বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিত যাভেনতেম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হামলার ঘটনাটি ‘আত্মঘাতী’ বলে দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরণের আগে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। সেই সঙ্গে কাউকে আরবি ভাষায় স্লোগান দিতেও শুনেছেন তারা।
বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী সর্বোচ্চ ‘সন্ত্রাসী সতর্কতা’ জারি করেছে।
বিমানবন্দরে এ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে বেলজিয়াম পুলিশ এখনো একজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। এ সংখ্যা নিয়েও দ্বিধা-বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। কোনো সংবাদমাধ্যম বলছে, আহতের সংখ্যা ৩০। কারোর দাবি, শতাধিক।
হামলার ঘটনায় যাভেনতাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে। ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি আগত প্লেনগুলোকেও অন্যরুটে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সবাইকে বিমানবন্দর এলাকা এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, যাভেনতামের ভেতর আরো কয়েকটি বোমা আছে।
এদিকে, যাভেনতাম বিমানবন্দরে হামলার এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ব্রাসেলসে মায়েলবিক মেট্রোস্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়ও আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মেট্রোস্টেশনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদরদপ্তরের কাছাকাছি। এ ঘটনায় ব্রাসেলসের সব মেট্রো স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করেছে ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ।
হামলার ঘটনায় বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেল এক টুইট বার্তায় বলেছেন, কেন্দ্র সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ব্রাসেলসে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমি হতবাক। বেলজিয়ামকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
আরএইচ