ঢাকা: বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে হামলায় সংশ্লিষ্ট ‘সন্দেহভাজন’ পলাতক নাজিম লাচরাওইকে (২৪) পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। তবে ব্রাসেলস প্রসিকিউটর বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেননি।
নাজিম লাচরাওইকে গ্রেফতারের বিষয়টি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (২৩ মার্চ) স্থানীয় ওই সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) দিকে শক্তিশালী জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে যাভেনতেম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর ৭৯ মিনিটের মাথায় অপর এক আত্মঘাতী হামলায় কেঁপে ওঠে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে অবস্থিত মায়েলবিক মেট্রোস্টেশন।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হামলা চালানো তিন সন্দেহভাজনের নাম, খালিদ এল বাক্রাওই, ব্রাহিম এল বাক্রাওই ও নাজিম লাচরাওই (২৪)। এর মধ্যে খালিদ ও ব্রাহিম সহোদর।
খালিদ ও ব্রাহিম যাভেনতেন বিমানবন্দর ও মেট্রোস্টেশনে আত্মঘাতী হামলা চালান। আর শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বোমার স্যুটকেস বিমানবন্দরে রেখেই নাজিম লাচরাওই সটকে পড়েন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পলাতক নাজিম লাচরাওই পুলিশের ওয়ান্টেড লিস্টে ছিলেন আগে থেকেই। গত বছর নভেম্বরে প্যারিস হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের তিনি ‘আত্মঘাতী ভেস্ট’ তৈরি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ হামলায় ১৩০ জন নিহত হন। চার মাস আগে প্যারিস হামলার হোতা সালাহ আব্দেসলামের সঙ্গে তিনি ব্রাসেলসে প্রবেশ করেন।
গত ১৮ মার্চ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দেসলামকে যে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ, সে অ্যাপার্টমেন্টটি খালিদ এল বাক্রাওই ভাড়া করেছিলেন বলে জানানো হয় খবরে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো আরো জানিয়েছে, ব্রাসেলস হামলার আগে টানা ১০ দিন পুলিশের তাড়া খেয়ে এখান থেকে সেখানে পালিয়ে বেড়িয়েছেন আব্দেসলামসহ হামলাকারী বাকিরা। কিন্তু গত ১৮ মার্চ তাদের সর্বশেষ ডেরায় পুলিশ হানা দিলে গুলি বিনিময় হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। এ সময় আহত অবস্থায় গ্রেফতার হন আব্দেসলাম। কিন্তু বাকিরা পালিয়ে যান।
ধারণা করা হচ্ছে, আব্দেসলামকে গ্রেফতার করার পর হামলাকারীরা নতুন একটি ডেরা খুঁজে বের করেন। সেখানেই তারা মঙ্গলবারের হামলার প্রস্তুতি নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
আরএইচ